
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে ডাকাতির শিকার হয়েছেন উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা অভিমুখে যাত্রাকালে কাচপুর ব্রিজ সংলগ্ন সাইনবোর্ড এলাকায় তাদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাসে ছিনতাইকারীরা হামলা চালায়।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, আবুল কালাম আজাদ, শওকত হোসেন সগির, নুরুল আমিন বাবুসহ আরও কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ছিনতাইকারীরা মাইক্রোবাসটি থামিয়ে ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয়। এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি বলে জানা গেছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগীরা নিরাপদে সেখান থেকে সরে যান।
কোম্পানীগঞ্জের যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন রিপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় যাওয়ার পথে নোয়াখালীর একাধিক মাইক্রোবাস ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। ধারাবাহিক এসব ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এটি দুঃখজনক। আমরা চাই সড়কে নিরাপত্তা জোরদার হোক। পুলিশ টহল বাড়াক এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনুক।
এ বিষয়ে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট ও সদরের আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে যাওয়া নেতাকর্মীদের ওপর এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক। এটি প্রমাণ করে সড়কে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা ভঙ্গুর। অবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।












































