ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান। নিজেই স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের কথা জানিয়েছেন। প্রথম কেমো থেরাপির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও পোস্ট করেছিলেন। গত ১০ জুলাই ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তোমার এই কষ্ট দূর করতে পারবে না… দয়া করো আল্লাহ, দয়া করো।’
এদিকে হিনা খানের এই অসুস্থতার মধ্যেই এল দুঃসংবাদ। একই রোগে মারা গেলেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপর্ণা ভাস্তারে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৫৭ বছর বয়স হয়েছিল এ অভিনেত্রীর।
মৃত্যুর সময় স্বামী নাগরাজ ভাস্তারেকে রেখে গেছেন এ অভিনেত্রী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী অভিনেত্রীর স্বামী জানিয়েছেন, অপর্ণা ফুসফুস ক্যানসারে ভুগছিলেন। যা দুই বছর আগে শনাক্ত হয় এবং চতুর্থ স্টেজে ছিলেন।
অপর্ণার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কর্ণাটকের অভিনেত্রী পদ্মজা রাও। দু’জন একসঙ্গে কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজও করেছেন। সহকর্মীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে তিনি বলেন, এক বছর ধরে দেখা হয়নি আমাদের। শেষকৃত্যেও যেতে পারলাম না। আবার সেভাবে কাঁদতেও পারি না।
এছাড়াও পদ্মজা জানান―অপর্ণা কন্নড় ভাষার একজন উপস্থাপিকা ছিলেন। খেতে ভীষণ পছন্দ করতেন। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ওজনও অস্বাভাবিকভাবে কমে যাচ্ছিল। ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন। ক্যারিয়ারে বেঙ্গালুরুতে আরজে, সাংবাদিক ও উপস্থাপিকা হিসেবে খুবই পেশাদার ছিলেন অপর্ণা।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের চিক্কামাগালুরুর কাদুর তালুকের পানাচানাহল্লিতে জন্ম অপর্ণা ভাস্তারের। বেড়ে উঠা বেঙ্গালুরুতে। তার বাবা ছিলেন কন্নড় প্রকাশনার একজন সিনেমা সাংবাদিক। ১৯৮৫ সালে কন্নড় সিনেমা ‘মাসানাদা হোভু’র মাধ্যমে পর্দায় অভিষেক হয় অপর্ণার।
সুরেলা কণ্ঠ ও ব্যক্তিত্বের জন্য দর্শক-শ্রোতামহলে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। কন্নড় ভাষায় নম্মা মেট্রোয় কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৯০ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে আরজে (রেডিও জকি) এবং ডিডি চন্দনাতে উপস্থাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন অপর্ণা। এছাড়া ‘ইলাদা মেলে’ ও ‘প্রীতি ইলাদা মেলে’র মতো একাধিক হিট ধারাবাহিকে কাজ করেছেন এ অভিনেত্রী।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |