
হেড লাইন: পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলীয় ‘ব্যাট’ প্রতীকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ায় দলটির নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে আলাদা আলাদা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার ভোট দিচ্ছেন। তাদের ভোটেই নির্ধারিত হবে, আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় কারা থাকবেন। বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় কারান্তরীণ ইমরান খান। তবে জনপ্রিয়তায় তার ধারে কাছেও নেই নওয়াজ শরিফ কিংবা পাকিস্তান পিপলস পার্টি। কারাগার থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ইমরান খান। এর আগে নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে সমর্থকদের বার্তা দিয়েছেন ইমরান। এতে ভোট দেওয়ার পর সমর্থকদের কেন্দ্রের বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নিজের একটি কালো পোশাক পরা ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে ইমরান খান লিখেছেন, ‘কারাগার থেকে ইমরান খানের বার্তা : আমার প্রিয় পাকিস্তানিরা, আপনাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লড়াই করায় আমাকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর আমি ও পাকিস্তান আপনাদের থেকে কেবল ২৪ ঘণ্টা সময় চাই। আপনারা সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে ভোট দিতে উৎসাহিত করুন। পোলিং এজেন্টের হাতে ফর্ম না পৌঁছানো পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অপেক্ষা করুন।’ তবে বৈশ্বিক নানা মিডিয়া ও থিংক-ট্যাংক বলছে, পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে জিততে চলেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আর এই অনুমান সঠিক হলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নওয়াজের এটি হবে চতুর্থ মেয়াদ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রধান নেতা নওয়াজ শরিফ ২০২৪ সালের এই সাধারণ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে মার্কিন মিডিয়া এবং থিংক ট্যাংকগুলোর পাশাপাশি বিবিসি, গার্ডিয়ান এবং এএফপিসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়া আউটলেটগুলো অনুমান করছে। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, এবার পাকিস্তানিরা যখন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবে তখন নওয়াজ শরিফকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাতে না পারাটা হবে বিস্ময়কর।
আরেক মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ‘নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে এগিয়ে ছিলেন ইমরান খানের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফ। ৭৪ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পুনরায় নির্বাচিত হতে চাইছেন এবং তেমনটি হলে বিদেশে কয়েক বছরের স্বেচ্ছায় নির্বাসনের পর এটি হবে নওয়াজের জন্য উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন।’সিএনএন আরও বলেছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির কাছ থেকে নওয়াজ শরিফকে শক্তিশালী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। ৩৫ বছর বয়সী বিলাওয়াল এবারই প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হয়েছেন।













































