প্রচ্ছদ আন্তর্জাতিক কাশ্মীরে হামলার আগে বাতিল হয় মোদির সফর, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁ’স

কাশ্মীরে হামলার আগে বাতিল হয় মোদির সফর, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁ’স

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকি চলছেই। যদিও ইসলামাবাদ শুরু থেকেই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হলেও ভারত এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। কোনো হামলাকারীকেও ধরতে পারেনি দেশটির গোয়েন্দারা। এমন অবস্থায় কাশ্মীর ইস্যুতে হিন্দুস্তান টাইমস চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।

শনিবার (৩ মে) ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, কাশ্মীরে যে হামলা হতে পারে, সে বিষয়ে আগেই গোয়েন্দাবার্তা মিলেছিল। এমনকী ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি) এবং অন্যান্য সংস্থা স্থানীয় কর্মকর্তাদের এই সতর্কবার্তা দিয়েছিল।

শুধু তাই নয়, কাশ্মীরের শ্রীনগরে ১৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্ধারিত সফরসূচি ছিল। এ সফরের কাছাকাছি সময়ে হামলা হতে পারে সেটিও পুলিশ এবং ভারতীয় সেনাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার কারণ দেখিয়ে চারদিন আগে মোদির সফর বাতিল করা হয়। এই অবস্থায় ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরের বাইসারান উপত্যকায় বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। তবে, শ্রীনগর থেকে পেহেলগামের দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার।

শীর্ষ এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, গোয়েন্দারা এমন তথ্য মাঝেমধ্যে পাঠান। তবে, ১০ বার এমন তথ্য আসলে ৯ বারই এ রকম তথ্য সঠিক বলে প্রমাণিত হয় না। কিন্তু এবার গোয়েন্দা তথ্য সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। তবে, তারা শ্রীনগরের কথা বলেছেন কিন্তু হামলা হয়েছে পেহেলগামে। 

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত।

পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানান, সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। তিনি বলেছেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান। 

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, আমাদের থামাতে কেউ পারবে না। মোদি যদি উত্তেজনা বাড়ানোর পথ বেছে নেন, তবে আমরা তাকে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করব। আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ এখন সামরিক আক্রমণ আসন্ন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের ‘রক্ত ফুটছে’। হামলায় জড়িত প্রত্যেককে কঠিনতম শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় নিজের তিন বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন মোদি।
বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরা হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। 

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।