প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক কারাগার থেকে নির্বাচন নিয়ে নতুন বার্তা ইমরান খানের

কারাগার থেকে নির্বাচন নিয়ে নতুন বার্তা ইমরান খানের

আন্তর্জাতিক: পাকিস্তানের নির্বাচনের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন সরকার গঠন হয়নি। ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে জোট ভাঙা গড়ার খেলা। এরমধ্যে নির্বাচন নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইমরান খান বলেন, লাহোরে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) এক নেতার মালিকানাধীন ছাপাখানা থেকে এখনো জাল ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে। পিএমএল-এনের ওই নেতার নাম এহসান বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ১০ দিন পরও এখনো সুন্দরভাবে সুসংগঠিত ও সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে কারচুপি অব্যাহত রয়েছে।

ইমরান খান এ অভিযোগের সঙ্গে এক্সে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে এক ব্যক্তি বলেন যে, তিনি সোর্স মারফতে সংবাদ পাওয়ার পর লাহোরের লক্ষ্মী চকের ছাপাখানায় পৌঁছেছিলেন। ওই ব্যক্তি দেখান যে, ফ্লোর ও টেবিলে ব্যালট পেপারের স্তূপ রয়েছে। তার মতে, এসব নওয়াজ শরিফের হেরে যাওয়া আসন এনএ-১৫ মানসেহরার জন্য ছাপানো হয়েছে।

ইমরান খান ওই পোস্টে উল্লেখ করেন যে, কেবল সরকারি ছাপাখানাগুলো ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য অনুমোদিত। এ সময় তিনি বলেন, আমরা ফরম ৪৫ অনুসারে নির্বাচনের ফল অবিলম্বে প্রকাশের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রথম, পিএমএল-এন দ্বিতীয় ও পিপিপি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। তবে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে জোট গঠন করে সরকার আসার চেষ্টা করছে বড় দলগুলো। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছার কথা জানিয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি।

এর আগে গতকাল রোববার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই মনোনীত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান বলেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন ৪০টি আসনও জিততে পারেনি। তাদের এবং অন্য সবাইকে জনগণের কথা শুনতে হবে। দেশের জনগণ ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং তারা সুন্দর পাকিস্তান চায়। বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ঘটে যাওয়া জালিয়াতির প্রধান সুবিধাভোগী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।