সারাদেশ: কারাগারে যা শিক্ষা পেয়েছি, সারা বিশ্ব ঘুরেও তা পাইনি বলে জানিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, আমি ডাক্তার। পৃথিবীর অনেক দেশে কনফারেন্সে অংশ নিয়েছি। মানুষের শরীরতত্ত্ব সম্পর্কে জানতাম আমি। কিন্তু মানুষের মনস্তত্ত্ব কিংবা সামাজিক প্রকৃত চিত্র আমি জেনেছি কারাগারে গিয়ে। জেলখানা অনেক বড় একটা বিশ্ববিদ্যালয়। মানুষ মানুষকে চিনতে পারে সেখানে গেলে।
নারী সমকামিতা এটা আমি শুধু মুভিতেই দেখেছিলাম, কিন্তু এটা কারাগারে আমি দেখেছি। নারী সমকামিতা অর্থাৎ ওই ধরনের মানুষের ইন ইনপ্রোপ্রিয়েট ট্রাস্ট পেয়েছি। তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সচেতন। আমার লিখা বইয়ে আমি এই নারী সমকামিতার বিষয়টিও তুলে ধরেছি।
পুরোনো কয়েদিরা তাকে আদর করে ৪ আঙুল জায়গা বেশি দিত উল্লেখ করে সাবরিনা বলেন, কয়েদিরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। নিজের পাতের মাংসের টুকরো আমার পাতে তুলে দিয়েছে। আমাকে সম্মান করেছে। হাজিরার দিন আমাকে যত্ন করে রেখে দেয়া তাদের শাড়ি পরতে দিতো। তিনি বলেন, বাইরের জগতের কেউ আমার পাশে দাঁড়ায়নি। শুধু পাশে ছিলেন আমার মা-বাবা। মা অসুস্থ থাকা অবস্থায় কারাগারে ভীষণ অনিশ্চয়তার মধ্যে তার দিন কেটেছে বলে জানান ডা. সাবরিনা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। নিম্ন আদালতে তার সাজা হলেও উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করে জামিন পান তিনি। প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়ে গত বছরের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা। আসন্ন বই মেলায় তার নতুন বই ‘বন্দিনী’ আসছে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
| প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |
