
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর কাবা শরীফে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন এক মুসল্লি। কাবার মসজিদের ওপরের তলা থেকে ওই ব্যক্তি লাফিয়ে পড়েন। রমজান মাসের শেষ দিন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মক্কার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে জিও নিউজ।
পবিত্র কাবা শরীফের দায়িত্বে থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী স্পেশাল ফোর্স ফর দ্যা সিকিউরিটি অব দ্যা কাবা মোস্ক এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। তবে পবিত্র এ মসজিদে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ব্যক্তির পরিচয় বা জাতীয়তা কিছুই প্রকাশ করেনি তারা। তারা জানিয়েছেন, ৩০ রমজানের দিন রীতিমতো লাখো মুসল্লি ওমরা পালনের অংশ হিসেবে কাবা শরীফ তওয়াফ করছিলেন। সেই সময় এমন ঘটনা ঘটায় ওই ব্যক্তি।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) মক্কা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।’ তবে তারাও এ ঘটনায় বিস্তারিত কিছু জানায়নি বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।
এর আগে, ২০১৭ সালে এক সৌদি নাগরিক কাবা চত্বরে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটকে দেন।
২০১৮ সালে পবিত্র কাবা শরীফে তিনটি আত্মহননের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের জুনে কাবা মসজিদের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে এক ফরাসি নাগরিক আত্মহত্যা করেন। এর এক সপ্তাহ পর ঠিক একইভাবে এক বাংলাদেশিও কাবা শরীফে আত্মহত্যা করেন। এরপর আগস্টে আরেক সৌদি নাগরিক গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহনন করেন।
আত্মহনন বা আত্মহত্যা ইসলামে মহাপাপ। সৃষ্টিকর্তার কাছে যে পাপের কোনো ক্ষমা নেই। যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করবে তার নামাজে জানাজাও না পড়ার বিধান রয়েছে। যারা আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করবেন তারা চিরজীবন দোযখের আগুনে জ্বলবেন বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।