প্রচ্ছদ হেড লাইন করোনায় মারা গেলেন রাজনীতিবিদ

করোনায় মারা গেলেন রাজনীতিবিদ

বছরের শেষ প্রান্তে শেষে চলতি বছর হারিয়ে যাওয়া সব তারকাদের নিয়ে একত্রে যখন সংবাদের শিরোনাম করা হচ্ছে, সেই সময়ও থেমে নেই মৃত্যু। গত ১৭ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী অনুপ ঘোষালের। এর ক’দিন পরই গত ২২ ডিসেম্বর মারা যান অভিনেতা কিংশুক গঙ্গোপাধ্যায়। এবার মারা গেলেন রাজনীতিবিদ ও জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয়কান্ত।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এই তারকার মৃত্যুর খবর উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, এদিন চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণী এই অভিনেতার।

অন্য একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, অভিনেতা কিছুদিন আগেই মহামারি করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছিলেন। এ জন্য চিকিৎসাও চলছিল তার। এ অবস্থায় নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল। এর আগে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।

এ অভিনেতা ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘ক্যাপ্টেন’ নামে। তিনি এর আগে গত নভেম্বরেও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। ওই সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাকে। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস এবং নিউমোনিয়ার কাছে পরাজিত হলেন এই তারকা।

বিজয়কান্তের জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। নব্বই দশকের শুরুর দিকে তামিলনাড়ুর ইন্ডাস্ট্রির বিজয়কান্তের সঙ্গে তাকে তুলনা করেছিলেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এম জি রামচন্দ্রণের। তার নাম দেয়া হয়েছিল ‘শ্যামলা এমজিআর’। বিজয়কান্ত ১৫৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

ইন্ডাস্ট্রির বাইরে বিজয়কান্ত রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। রাজনীতিতে বেশ উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ছিল। মৃত্যুর পর ডিএমডিকে (Desiya Murpokku Dravida Kazgam) অফিসে নেয়া হবে তার দেহ। ডিএমকে এবং এডিএমকে-র দ্বৈরথের মধ্যে সফলভাবে মেলবন্ধন তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি।

২০০৫ সালে নতুন দল ডিএমডিকে গড়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন বিজয়কান্ত। ২০১১ সালে এডিএমকে নেত্রীয় জয়ললিতার হাত ধরে ২৯টি আসনে জয় পায় বিজয়কান্তের ডিএমডিকে। এরপর জয়ললিতার সঙ্গে জোট ভাঙায় বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হন অভিনেতা। গুঞ্জন রয়েছে―উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিতে রাজি না হওয়ার কারণে জোট ভেঙেছিলেন বিজয়কান্ত।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।