
সারাদেশ: আইনি জটিলতায় কয়লা আমদানি ঝুলে থাকায় মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন চালু রাখা নিয়ে চরম শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে কয়লা মজুত রয়েছে আর মাত্র মাসখানের। কিন্তু কয়লা আমদানিতে এবার সুখবর দিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, কয়লা আমদানি নিয়ে আদালতের যে নিষেধাজ্ঞা ছিলো সেটি স্থগিত করা হয়েছে। ফলে কয়লা আমদানি নিয়ে এখন আর কোন জটিলতা নেই। নিয়ম অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশে কয়লা চলে আসবে। তাই মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তা কেটে যাবে। শহরের হিলডাউন সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, মহেশখালীতে গত সরকার প্রকল্প বিলাস চালিয়েছে। জনকল্যাণে আসে না এ রকম হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। সেগুলো বিষয়ে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। এটি বাংলাদেশের আলোচিত মেগা প্রকল্পের একটি। দেশের এই বৃহৎ প্রকল্পে জাইকা ৫০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। শূন্য দশমিক ১০১ শতাংশ হার সুদে এই টাকা বিনিয়োগ করেছে জাইকা। এটি দেশের বাইরে জাপানের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ। এক হাজার দুইশ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশে যতগুলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল। ২০২৩ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হয়েছে ৩৬৪ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৬ ইউনিট বিদ্যুৎ। কয়লা আমদানি জটিলতা দ্রুত শেষ না হলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে প্রকল্পটির।
সূত্র: Channel 24













































