অপরাধ: পদে পদে দুর্নীতি আর লুটপাটের অভরায়ণ্যে পরিণত হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ও সিলেটবাসীর শেষ ভরসাস্থল এটি। রোগীদের খাবার আত্মসাৎ, চিকিৎসকদের অবহেলা, নার্সিং পরীা পদে বিবাহিতদের স্থান দেওয়া, নিয়োগ বাণিজ্য ও গেইট-দারোয়ানদের রমরমা চাঁদা আদায়, রোগীদের সরকারি ঔষুধ না দিয়ে বাইরে থেকে ক্রয় করানো, যথাসময়ে চিকিৎসক না পাওয়াসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে সরকারি এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
ডাক্তার থেকে শুরু করে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট অনেকে দুর্নীতির জালে হাবুডুবু খাচ্ছেন বলে অভিযোগের শেষ নেই। সরকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উন্নতির জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু কতিপয় অসাধু ডাক্তারের কারণে সরকারের মহতী উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে ওসমানী হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় অনিয়মের নানা দৃশ্য। এমনি নানা দুর্নীতি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যা অনলাইন পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো –
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে রুগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে টিকেট নিতে হবে। টিকেট ১০টাকা, টিকেট নেওয়ার পর, যদি রোগী ভর্তি করতে হয়।
লিখা ১৫টাকা কিন্তু টিকেট ২০টাকা। টিকেট নেওয়ার পর রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০টাকা, আর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ট্রলি দিয়ে নিতে ২০০টাকা,ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর রোগীর সাথে ১জনের বেশি প্রবেশ করলে জন প্রতি ২০টাকা,
৫০০টাকা হলে বেড আছে। না হয় মাটিতে। রোগী ভর্তি শেষ। এবার ডাক্তারের পালা। ডাক্তার আসবে রোগী দেখবে।তারপর শুরু হবে পরিক্ষা। প্রথমে কমপক্ষে ৪টি পরিক্ষা সাথে ১বস্তা স্যালাইন ও কিছু ঔষধ। পরিক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত স্যালাইন আর ঔষধ চলবে।
রিপোর্ট আসার পর আরেক ডাক্তার আসবে সে দেখে আবার অন্য পরিক্ষা দিবে। এভাবে প্রতিদিন ডাক্তার পরিবর্তন হবে আর একটার পর একটা পরিক্ষা দিবে।পরিক্ষা করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০টাকা ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে। আর প্রতিদিন নতুন নতুন ঔষধ যোগ হবে।
প্রতিদিন রোগীর সাথে দেখা করতে আসলে দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। সব পরিক্ষা শেষ। এবার অপারেশন এর পালা।অপারেশন করতে ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকার ঔষধ কিনে ডাক্তারের হাতে দিতে হবে। যাহা অফেরতযোগ্য।অপারেশনে যদি রোগী মারা যায়। টাকা এবং মানুষ সব শেষ। হাতে ভিক্ষার বাটি।
আর অপারেশন যদি সাক্সেস হয়। অপারেশন থিয়েটারের বয়কে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। এবং প্রতিদিন ড্রেসিং করার জন্য ও খাওয়ার ঔষধ কিনতে হবে। রোগী সুস্থ্য। এবার রিলিস দেওয়ার পালা।নার্সকে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে। সবাইকে খুশি করে লেংটা হয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারপর বাহিরে এসে দেখবেন জাতির সেই ব্যানার ঝুলে আছে,আমি ও আমরা সবাই সাধু!
প্রশাসনের কাছে জোর দাবী এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হোক।
ভাইরাল করলে এটাই করেন অন্তত আপনার পাড়া প্রতিবেশী মধ্যবিত্ত গরীব মানুষগুলো প্রানে বাঁচবে কাজে আসবে!
মোহাম্মদ রবি সিলেট
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |