প্রচ্ছদ জাতীয় এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাই: অবাক সেই নাবিক, কাকতালীয় বলছে মালিকপক্ষ

এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাই: অবাক সেই নাবিক, কাকতালীয় বলছে মালিকপক্ষ

১৩ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কেনার কয়েক মাস পরেই সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি জাহান মণি। এবারও ওই দেশ থেকে নেয়ার পর ছিনতাইয়ের কবলে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। ছিনতাইয়ের পর জাহান মণির মতো একই এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে আব্দুল্লাহকেও। ফলে দুটি ঘটনায় যোগসূত্র খুঁজছেন কেউ কেউ।

জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূলে নেয়ার পর সেখানে দু’বার স্থান পরিবর্তন করে জলদস্যুরা। বর্তমানে যা রাখা হয়েছে তীর থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে। তবে রোববার (১৭ মার্চ) নতুন করে স্থান পরিবর্তনের খবর মেলেনি।

মালিক পক্ষের দাবি, পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও জলদস্যুদের পক্ষ থেকে এখনও যোগাযোগ করেনি কেউ। তারা কোনো প্রস্তাবও দেয়নি। তবে নাবিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। সুস্থ আছেন সবাই। কবির গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকরা ভালো আছেন। সবার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। প্রত্যেকে সুস্থ আছেন।

তিনি বলেন, জাহাজে খাবার ও সুপেয় পানি মজুত ছিল। সেগুলো দিয়ে এখনও চলছে। নাবিকর সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করেনি জলদস্যুরা। তবুও নাবিকরা একটু উদ্বিগ্ন আছেন। বন্দি থাকলে উদ্বিগ্নতা কাজ করে, এটাই স্বাভাবিক ।

২০১০ সালে এমভি জাহান মণিকেও ছিনতাইয়ের পর এই উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। তাই একই গ্রুপের ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে পারে এমভি আব্দুল্লাহ এমন ধারণাও করছেন কেউ কেউ। ১৩ বছর আগে ছিনতাইয়ের শিকার জাহাজ জাহান মণির নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিসের দাবি, ছিনতাই হওয়া জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিতে এলাকাটিতে তৎপর থাকে জলদস্যুদের একাধিক গ্রুপ।

তিনি বলেন, ওখানে গ্রুপ ভাগ করা আছে। আমাদের ধরে সোমালিয়ায় নিয়ে গিয়েছিল জলদস্যুরা। প্রথমে একটি জায়গায় জাহাজ ভিড়িয়েছিল তারা। পরে আরেকটি গ্রুপ এসে সেখান থেকে আমাদের নিয়ে যায়।

মালিকপক্ষের তথ্যমতে, জাহান মণি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে গ্রহণের পর কয়েক ট্রিপ দিতেই জলদস্যুদের কবলে পড়ে। একইভাবে গেলো বছর একই দেশ থেকে নেয়া হয় এমভি আব্দুল্লাহকে। কয়েক ট্রিপের মধ্যে এটিও পড়ে ছিনতাইয়ের কবলে। এ ঘটনায় নাবিক ইদ্রিস অবাক হলেও বিষয়টিকে কাকতালীয় বলছে মালিকপক্ষ।

জাহান মণির নাবিক ইদ্রিস বলেন, দুটি জাহাজই কোরিয়া থেকে নেয়া হয়েছে। উভয়ই জলদস্যুদের কবলে পড়লো। বিষয়টি বিস্ময়কর বটে! এটি আমাকে অবাক করে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম বলেন, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। ওই এলাকায় সবসময় দস্যুরা থাকে। ফলে ছিনতাই হতেই পারে। একে অন্যভাবে দেখার কোনো উপায় নেই।

গেলো ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার সময় ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়া জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।