প্রচ্ছদ বাংলাদেশ এবার ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি

এবার ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি

বাংলাদেশ: ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিরত থাকার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এ দাবি জানান। হেফাজতের নেতৃদ্বয় ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে ‘অভিশপ্ত’ আখ্যা দিয়ে এই মতবাদকে একটি ইমান বিধ্বংসী মতবাদ বলেন। তারা আরও বলেন, এই মতবাদ এক ধরনের মানসিক বিকৃতি। সম্প্রতি ‘ট্রান্সজেন্ডার’ নামে অভিশপ্ত একটি অদ্ভুত মতবাদ প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এ মতবাদের অধিকারীদের উপস্থিতি জানান দিতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের কাছে নানারকম দাবিও তারা উত্থাপন করছে। আমরা এ দেশে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ ছাড়াও আসিফ মাহাতাব ইস্যুতে তারা বিবৃতিতে বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক স্বাধীনভাবে দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই পারেন। সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় লেকচারার আসিফ মাহাতাবকে শিক্ষকতার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিক্ষক সমাজ ও দেশ-জাতিকে হতবাক করেছে। তারা এর মাধ্যমে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। অবিলম্বে তাকে স্বপদে বহাল করার পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন তারা।

উল্লেখ্য, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার গল্প ‘শরীফ থেকে শরীফা’ প্রসঙ্গে নেতিবাচক বক্তব্য এবং প্রকাশ্যে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন চাকরি হারান দর্শনের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। গেল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যমে এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন মানুষ। কেউ কেউ বলছেন, আসিফ মাহতাব একজন শিক্ষক হয়ে বই ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন না। অনেকেই আবার এ ধরনের প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়ে চাকরিচ্যুতের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেছেন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।