দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২৪টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ, ১১টিতে জাতীয় পার্টি ও ৬০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, ২টি আসন স্থগিত ও ১টিতে অন্য দল জয় পেয়েছে। এসব আসনে নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ জন আইনজীবী, যারা দ্বাদশ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচিত আইনজীবীরা হলেন- ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ, অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট সেলিম মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এবং অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী: রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আবার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৩২ ভোট। ৯ হাজার ১৬ ভোট পেয়েছেন জাতীয় পার্টির নুর আলম মিয়া। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন এ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান। এ আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৫৪ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৪ জন। এরমধ্যে বৈধ ভোট ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৬। নিয়ম অনুযায়ী মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে অনুযায়ী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর আলমসহ পাঁচজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে এ আসনে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম-এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। শিরীন শারমিন চৌধুরী একজন কমনওয়েলথ স্কলার। ২০০০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিলো সংবিধানিক আইন ও মানবাধিকার এলএলএম পাশ করার পর তিনি ১৯৯২ সালেই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে তার ১৫ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আনিসুল হক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন এই আসনে সংসদ সদস্য পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আম প্রতীকে শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট। এই আসনে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন প্রার্থী সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।
নুরুল ইসলাম সুজন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-২ আসনে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পাঁচ বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন তিনি রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোট গণনা শেষে স্থানীয় সূত্র মতে, নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর রহমান রিপন পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২৭ ভোট।
শ. ম রেজাউল করিম: পিরোজপুর-১ আসনে আবারও বিজয়ী হয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৪১০। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) সাবেক এমপি ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪৮৭ ভোট। এ কে এম এ আউয়াল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করেছেন। পিরোজপুর-১ আসন পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলা নিয়ে গঠিত। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের বাড়ি জেলার নাজিরপুর উপজেলায়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বার কাউন্সিলের অর্থ কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিম ২০১৮ সালে প্রথম পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। সেবারও নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি প্রথমে পূর্তমন্ত্রী এবং পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এছাড়া তিনি একনেকেরও মেম্বার হন।
কামরুল ইসলাম: ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. হাবিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৬৩৫টি ভোট পেয়েছেন।
উম্মে কুলসুম স্মৃতি: সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার (ঈগল) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিপ্লব হাসান পলাশ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ এ কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়েছে। রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ রোববার রাতে কন্ট্রোল রুম থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে জানা যায়, এই আসনে ৭৩ হাজার ৯৭৪ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের তরুণ প্রার্থী অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ। নৌকা প্রতীক নিয়ে তার প্রাপ্ত ভোট ৮৬হাজার ৬৫৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৪।
ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আসনটির বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯৮ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ঈগল প্রতীকে ৪৯ হাজার ৩৪৮ ভোট পেয়েছেন। ৪৯ হাজার ২শ ৫৫ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন: নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) সংসদীয় আসনে টানা চতুর্থ বারের মতো জয় লাভ করেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগলকে হারিয়ে ৮ হাজার ৬৮২ ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন পেয়েছে ৭৯ হাজার ৩০২ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খাঁন বীরু পেয়েছে ৭০ হাজার ৬২০ ভোট। তবে আসনটিতে একটি কেন্দ্রে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রটি বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী: চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার সানজিদ রশিদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ নয় হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১১ হাজার ৭৩৮ জন, নীরী ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৩০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আটজন। এই আসনে ১৪২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এখন চলছে গণনা। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টায় ভোট পড়ে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
জুনাইদ আহমেদ পলক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) নাটোরের রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮৮টি এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক পেয়েছে ৪৩ হাজার ৬৫৯টি ভোট।
ডা. দীপু মনি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছে ডা. দীপু মনি। রোববার রাতে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চাঁদপুরের এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৭ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের ডা. দীপু মনি (নৌকা) প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া (ঈগল) ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট, জাকের পার্টির মো. কাওছার মোল্লা (গোলাপ ফুল) ১ হাজার ৪৩৭ ভোট, মো. রেদওয়ান খান (ট্রাক) ১ হাজার ২৩৪ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. মহসীন খান (লাঙ্গল) ৮২৮ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন (মোমবাতি) ৭৩৩ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. মিজানুর রহমান (ফুলের মালা) ৩৪৩ ভোট পেয়েছেন।প্রসঙ্গত, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের ওপর পড়াশোনা করেন ডা. দীপু মনি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও আইন পেশায় নিয়মিত নন তিনি।
শামসুল হক টুকু: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাথিয়া-বেড়া) আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ১২৫ কেন্দ্রের সব ফলাফল ঘোষণা করার পর দেখা যায়, জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী। এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৪৩ ভোট। পাবনা-১ আসন সাথিয়া ও বেড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩১ হাজার ৬১৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ১৯১ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৪২৪ জন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৭৫টি।রোববার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা তিন লাখ ৯৫ হাজার ৪৩৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৫টি। এ আসনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী কামরুল হাসান ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৫২৯টি। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর ইকবাল নান্টু মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১৫৯ ভোট। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ এর প্রার্থী জাহাঙ্গীর কামাল টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৮৯টি।
আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী: হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (ঈগল) প্রতীকে ৭৫ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩। মোট ৪৪ হাজার ৩৪৯ ভোটের ব্যবধানে সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবুকে হারিয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন কেয়া চৌধুরী। ফলাফল ঘোষণার পরপর নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার বিভিন্নস্থানে আনন্দ মিছিল করেছে কেয়া চৌধুরী সমর্থকেরা। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হন। মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। পরে আসন সমঝোতায় ২৫ আসনের মধ্যে হবিগঞ্জ-১ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। কপাল পুড়ে ডা. মুশফিকের। ফলে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ও আওয়ামী লীগ সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু।
মো. আবু জাহির: হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমএ মুমিন চৌধুরী বুলবুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬ ভোট। এ আসনে মোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩১টি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা এ ফল ঘোষণা করেন।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: হবিগঞ্জ–৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনে চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বর্তমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। স্থানীয়ভাবে ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ব্যারিস্টার সুমন এক লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দুইবারের সংসদ সদস্য মাহবুব আলী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ভোট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন ২০২১ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে বহিষ্কার হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিতি দিয়ে তিনি নেটিজেনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন:লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৬টি। ১৪৬টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ২৮ ভোট।
আবুল কালাম আজাদ: নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৪৭ ভোট।
ড. সেলিম মাহমুদ: চাঁদপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ড. সেলিম মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ১০৯ ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে সেলিম মাহমুদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ লাখ ৩৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের মো. সেলিম প্রধান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৩৪ ভোট। ড. সেলিম মাহমুদ ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করলেও কিছুকাল তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করে যান। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই অনুষদে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানেও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারের এনার্জি এন্ড রেগুলেটরি কমিশন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি একই প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বে ট্রাইবুনালের সদস্য হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এছাড়াও ড. সেলিম মাহমুদ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির ২০০৯-১২ মেয়াদের সদস্য ছিলেন। সেলিম মাহমুদ তার শিক্ষা জীবনে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় ও প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনবিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ড. মাহমুদ যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ’এনার্জি-ল’ এন্ড পলিসি’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার অসামান্য গবেষণা কর্মের জন্য যুক্তরাজ্যের এ বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘স্পেশাল ডিন এওয়ার্ড’ প্রদান করেন।
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)। তিনি ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৬২৪টি। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৭০ ভোট। নৌকার প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়া এম মনিরুজ্জামান মনির ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি মজিবুর রহমান ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ১৪২ ভোট, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ প্রতীকে জসিম উদ্দিন তালুকদার পেয়েছেন ২৮২ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকে এজাজুল হক এজাজ পেয়েছেন ১২৭২ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত মামুন সিকদার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৯৭ ভোট। এ আসনে মোট ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এক লাখ ১৩ হাজার ১৫ জন, এর মধ্যে বৈধ ভোট ৯৯ হাজার ৮৯০টি এবং বাতিল হয়েছে এক হাজার চারশ ২৫টি। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশনকক্ষ থেকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল সালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মুজিবুল হক চুন্নু: কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মুজিবুল হক চুন্নু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ১৯৭৯-৮০ সালে অনার্স ও ১৯৮০-৮১ সালে মাষ্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু সহকারী জজ (বিসিএস জুডিশিয়াল) হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। সমাজের সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে চাকুরী ছেড়ে রাজনীতি শুরু করেন এবং পরবর্তীতে আইন পেশায় যোগ দেন।
ওমর ফারুক সুমন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৬ আসনে বেসরকারি ফলাফলে স্বতন্ত্র (ট্রাক প্রতীক) প্রার্থী অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন ৭৬৭১৭ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবাধ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন হেলাল (নৌকা প্রতীক) নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬৯৯৭১। এই আসনে ১১৪টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৩লাখ ২৭ হাজার ৯৭৩। এই আসনে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মতিয়ার রহমান: লালমনিরহাট ৩ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকে ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান। তার নিকটতম প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০৮ ভোট।
মো. সোহরাব উদ্দিন: সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া আসনে বেসরকারিভাবে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হলেন সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক সাবেক ডিআইজি ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী নৌকা মার্কা আব্দুল কাহার আকন্দ পেয়েছেন মোট ৬৮৯৩২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব উদ্দিনের ঈগল মার্কা পেয়েছে ৮৯৫৩৯ ভোট৷ বিএনপির ৬ বারের বহিস্কৃত সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান রঞ্জনের ট্রাক পেয়েছে ১৬১৯৮ ভোট। এছাড়াও আলেয়া বেগম (এনপিপি) আম মার্কা ২৬৫, গণফ্রন্ট মীর আবু তৈয়ব রেজাউল করিম মাছ মার্কা ১২৮, গণতান্ত্রি পার্টি আশরাফ আলী ৫৮৯ ও বিএনএম বিল্লাল হোসেন ১১৫২ ভোট পেয়েছেন। পাকুন্দিয়া উপজেলায় বৈধ মোট ভোট ৮০৯৯৮। বাতিল ভোট ৯২২। সর্বমোট ভোটের সংখ্যা ৮১৯২০ ভোট। কটিয়াদী উপজেলায় বৈধ মোট ভোট ৯৫৭৫২। বাতিল ভোট ১৪১০। সর্বমোট ভোটের সংখ্যা ৯৭১৬২ জন।পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।
সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা কমছে: প্রচলিত ধারা অনুযায়ী আইন প্রণয়নে সরকার যদিও উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করে কিন্তু সংসদের সম্মতি ব্যতীত কোনো আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। সংসদে বিল আকারে উপস্থাপিত একটি আইন প্রণয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে একজন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগতভাবে প্রস্তাবে গুরত্বপূর্ণ সংশোধনী এনে আইন প্রণেতা হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। এদিকে সংসদ সদস্যদের মূল কাজ আইন প্রণয়ন হলেও সংসদে পেশাগতভাবে আইনজীবীর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন সম্পর্কে যাঁরা জ্ঞান রাখেন, তাঁদের আইনপ্রণেতা হওয়া উচিত। এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছিলেন, জাতীয় সংসদে প্রথিতযশা আইনজীবীদের সংখ্যা কমে আসছে এবং এ অবস্থা চলতে থাকলে সংসদে আইনের পরিবীক্ষণের জন্য বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে আইনজীবীদের সংসদে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছিলেন, জাতীয় সংসদে আইনজীবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে।তবে আইনজীবীদের অভিযোগ, আগের সংসদগুলোতে আইনজীবীদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে দলগুলো থেকে আইনজীবীদের মনোনয়ন কম দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনসহ মোট ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে আইনজীবীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫১ জন (১৪.৫৭ শতাংশ)। একদশ জাতীয় সংসদে আইনজীবী ছিল ১৩ শতাংশ। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত নির্বাচিত আইনজীবীর সংখ্যা বিশ্লেষণ করতে দেখা যায়, তা আশঙ্কাজনক হারে কমে ৮ শতাংশে নেমে গেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |