প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে

ফরিদপুরের নগরকান্দায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক কলেজছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বৈশাখী আক্তার (১৭) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

থানায় দেয়া জিডিতে বৈশাখী জানান, তার ছোট বোন চৈতি আক্তার (১৫), স্থানীয় ফুলসুতি আব্দুল আলেম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী শরীফ বেপারী (২১) ও তার সহযোগী কিছু যুবক চৈতির বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য করে আসছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে শরীফকে সতর্ক করা হলেও সে তাতে কর্ণপাত করেনি।

ঘটনার সর্বশেষ পর্ব ঘটে ২৯ মে বিকেল ৫টায়, যখন চৈতি বাড়ির পাশের রাস্তায় গেলে শরীফ আবারো তাকে ইভটিজিং করে। ভীত-সন্ত্রস্ত চৈতি বাড়িতে ফিরে বড় বোন ও পরিবারের সদস্যদের ঘটনা জানায়। পরে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন বৈশাখী।

আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব নয়: আমীর খসরু

জানা যায়, ফরিদপুরের নগরকান্দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ও সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বৈশাখী ইসলাম। অভিযোগ উঠে, শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভাবুকদিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে বৈশাখীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় বিএনপির লোকজন চুল ধরে টেনে ও লাথি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। ঘটনার পর সন্ধ্যায় তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ‘বৈশাখী ইসলাম বর্ষা’ থেকে দুটি লাইভে (১ মিনিট ৯ সেকেন্ড ও ২৭ সেকেন্ড) ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন কর্মী। সম্প্রতি একটি ইভটিজিংয়ের ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিএনপির লোকজন আমাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। তারা আমার বাবাকেও খুঁজছে মারার জন্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈশাখীর বোনকে একই এলাকার এক যুবক যৌন হয়রানি করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শালিস ডাকা হয়। তার আগেই বৈশাখী থানায় অভিযোগ করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অভিযুক্ত যুবকের বিএনপি ঘরানার পরিবার।