প্রচ্ছদ জাতীয় আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ, আমাকে নিহত বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে ছাত্রলীগ’

আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ, আমাকে নিহত বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে ছাত্রলীগ’

আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ। অথচ আমার ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে ‘রমজান কাজী’ নাম দিয়ে আমাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে নিহত বলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। নিজের মুখে এভাবেই কথাগুলো বলেছেন, গোপালগঞ্জের সহিংসতায় নিহত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে প্রচারিত সেই ‘রমজান কাজী’। গতকাল বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কোটালীপাড়ার ‘রমজান কাজী’ নিহত হয়েছেন বলে অপপ্রচার চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মৃত্যুর খবর নিজে দেখে চরম ক্ষোভ করেন ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া এই যোদ্ধা। ছাত্রলীগ কর্মীদের আইডি থেকে প্রচারিত নিহত ‘রমজান কাজী’ নামটি মূলত তার নয়। তার আসল নাম জুলকার নাইম (ডাকনাম হৃদয়)। প্রচারিত ওই ভিডিওটি হলো- ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের আলী আক্কাস সরকারের ছেলে জুলকার নাইমের।

 

বৃহস্পতিবার বিকেলে কামারখন্দ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ কর্মীদের এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুলকার নাইম ও তার পরিবার।জুলকার নাইম বলেন, আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ। আমার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ আমার ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে ‘রমজান কাজী’ নাম দিয়ে আমাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে নিহত বলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।

 

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সঠিক তথ্য যাচাই না করে এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া খুবই দুঃখজনক। আমি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত এই ভুল সংশোধনের আহ্বান জানাই।জুলকার নাইমের বাবা মো. আলী আক্কাস সরকার বলেন, আমার ছেলে জীবিত ও বাড়িতেই আছে। অথচ গতকাল গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতদের তালিকায় মিথ্যা পরিচয় ও ছবি দিয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।

 

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিকসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় চারজন নিহত হন। তাদের মধ্যে কোটালীপাড়া উপজেলার রমজান কাজী, গোপালগঞ্জ শহরের দীপ্ত সাহা, টুঙ্গিপাড়ার সোহেল রানা ও সদর উপজেলার ইমন তালুকদারের নাম প্রচার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীরা।