প্রচ্ছদ রাজনীতি ‘আমি উপরওয়ালার প্রেরিত খলিফা’— আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী

‘আমি উপরওয়ালার প্রেরিত খলিফা’— আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী

রাজনীতি : ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। আমার মালিক উপরওয়ালা, আমি তার খলিফা। তাই কুরআন ও হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি, এটা আমার দায়িত্ব। তিনিই সেই পবিত্র সত্তা যার কাছে আমাদের যেতে হবে; এ কথা যে বিশ্বাস করে তার আর কিছু লাগে না।

ভরসা রাখি আল্লাহ, আস্থা আমার জনগণ। শেষ যে মুহুর্ত তৈরি হয়েছে সেটা আমি তৈরি করিনি। যিনি তৈরি করেছেন, তিনিই আমার জন্য যথেষ্ট।’ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু এসব কথা বলেন।

লিটু বলেন, ১৯৯৭ সালে আমি স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিই। সবকটি ইউনিয়ন, উপজেলার নির্বাচনে জয়লাভ করে আমি আজকের অবস্থায় এসেছি। এই নির্বাচনের আগে যে বা যারা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলো তাদের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। এই কয়দিন আমাকে কোর্টের বারান্দায় দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছে, আমি আমার জনগণের কাছে যেতে পারিনি। অবশেষে উচ্চ আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছে।

নির্বাচনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নৌকার যিনি প্রার্থী আছেন তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালবাসা রয়েছে। তিনি সৌভাগ্যবান যে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। আমি নির্বাচনে আসার পর থেকেই বাধা পেয়ে আসছি। আপনারা দেখেছেন, আমাকে কিভাবে হয়রানি করা হয়েছে। গেলো জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে রক্তাক্ত, আহত করা হয়েছিলো। সেই দাগ এখনো কাটে নাই। ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আমার প্রার্থীতা বৈধ ছিল, এ নির্বাচনের আগে ভুতুড়ে মামলা দিয়ে আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করেছে। সেই আশঙ্কা এখনো আমার কাটেনি।

নির্বাচনের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, নড়াইলের মানুষ তাদের মধ্য থেকেই নেতা চায়। তারা চায়, নেতা সবসময় তাদের সাথে থাকুক। আমি দীর্ঘদিন স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি করেছি, স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ছিলাম তাই স্থানীয় জনগণের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ ভোটের মাধ্যমে আগামী ৭ তারিখ আমাকে নির্বাচিত করবে, এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

উন্নয়নের দাবিদার ব্যক্তিগত দাবিদার কেউ নয়, কেন্দ্রীয় সরকার— এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, উন্নয়ন কেউ একা করেনি। আমি যখন চেয়ারম্যান ছিলাম এসব রাস্তা-সেতু আমিই করেছি। আমি সার্ভে করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম আমার আমলে হয়েছে, আমি করেছি। বিশেষ কোনো উন্নয়ন নড়াইলে হয়নি যে, যার দাবিদার ব্যক্তিগত কাউকে দিতে হবে। উন্নয়ন সরকারের গতানুগতিক প্রক্রিয়া।

স্থানীয় ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থন নেতাদের সমর্থন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবার নির্বাচন ওপেন করে দিয়েছেন। সাবেক অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, স্থানীয় প্রতিনিধি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। একজন স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে আমার প্রতি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থন থাকবে এটা স্বাভাবিক বিষয়।

জানা যায়, নড়াইল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লোহাগড়ার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুর আমিন লিটু। তিনি লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

গত ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে উচ্চ আদালতে যান লিটু। গত ২৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার প্রার্থিতা ফেরত দিয়ে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।