
জাপান ঘোষণা দিয়েছে— দেশজুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। শ্বাসযন্ত্রের এই ভাইরাসে ইতিমধ্যে হাজারো মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরের এই সময় এত বেশি সংক্রমণ অস্বাভাবিক। এ কারণে শীতের মুখে থাকা এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোতেও নতুন সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তবে এটি বিশ্বব্যাপী মহামারিতে রূপ নেবে, এমন আশঙ্কা আপাতত কম।
১০ অক্টোবর পর্যন্ত জাপানে ৬,০১৩টি ফ্লু আক্রান্তের ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। ১০০-রও বেশি স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৮৭ জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ছিল ১৪ বছর বা তার কম বয়সী শিশু। স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৩ অক্টোবর দেশব্যাপী মহামারি ঘোষণা করে। সাধারণত কোনো এলাকায় প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হলে সেটিকেই ‘মহামারি’ বলা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইনফ্লুয়েঞ্জা গবেষণা কেন্দ্রের উপপরিচালক ইয়ান বার বলেন, “জাপানে আগে কয়েক বছর ফ্লু মৌসুম একটু আগেভাগে শুরু হয়েছিল, কিন্তু এতটা আগে কখনো নয়। অক্টোবর মাসে কিছু রোগী পাওয়া যেতে পারে, তবে মহামারির মতো সংখ্যা নয়।”
বার ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯–এর পর আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বেড়ে যাওয়াও এই অস্বাভাবিক আগাম সংক্রমণের অন্যতম কারণ। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভাইরাসের সংস্পর্শে না আসা শিশু ও প্রবীণদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া বিষয়টিও ভূমিকা রাখছে।
জাপানে বর্তমানে ঠিক কোন ধরণের ফ্লু ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বার ধারণা করছেন, এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ–এর H3N2 ধরন হতে পারে— যে ভাইরাসটি গত দুই মাসে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছিল।