![1704173158-785b0eb6a788620c49a1179890b7694b](https://sarabanglahh.com/wp-content/uploads/2024/01/1704173158-785b0eb6a788620c49a1179890b7694b-640x384.webp)
সারাদেশ: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া এ রায়ের খবরটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি) এ খবরের শিরোনাম করেছে ‘মুহাম্মদ ইউনুস : বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ীর কারাদণ্ড’। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
অধ্যাপক ইউনূসের সমর্থকরা বলছেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রায়ের পর এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘আমার আইনজীবীরা আদালতে দৃঢ়ভাবে যুক্তি দেখিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে এ রায় সমস্ত আইনি দৃষ্টান্ত ও যুক্তির বিপরীত। আমি বাংলাদেশের জনগণকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে এক কণ্ঠে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছি। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক প্রধান এবং জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে কর্মরত আইরিন খান এ রায়কে ‘ন্যায়বিচারের পরিহাস’ বলেছেন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, ‘শ্রম আইনের মামলায় নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা’। এতে বলা হয়েছে, ৮৩ বছর বয়সী ইউনূস তাঁর মাইক্রোফাইন্যান্স ব্যাংকের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি দেশটির দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। ড. ইউনূসকে ‘গরিবের রক্তচোষা’ বলে অভিযোগ করেছিলেন শেখ হাসিনা। দ্য গার্ডিয়ানের শিরোনাম, ‘বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস দোষী সাব্যস্ত’। এতে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলার রায় এমন সময় হলো যখন বাংলাদেশ ৭ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স, ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়ায় খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |