প্রচ্ছদ রাজনীতি আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখাই সরকারের লক্ষ্য : বিপিপি

আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখাই সরকারের লক্ষ্য : বিপিপি

রাজনীতি : বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের বলেছেন, গণদাবি উপেক্ষা করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনী প্রহসনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এসেছে। আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখাই এই সরকারের লক্ষ্য।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আরামবাগের গণফোরাম চত্বরে কালো পতাকা মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, বিরোধীমতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও ডামি সংসদ বাতিলসহ একদফা দাবিতে গণফোরাম (মন্টু) ও বিপিপির যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।

আব্দুল কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের ৯০ শতাংশ ভোটার ভোট দানে বিরত ছিলেন। কারণ, মানুষ জানে এই একতরফা নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাদের কোনো লাভ নেই। তারা জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়েও কেন্দ্রে নিতে পারেনি। বিএনপি, বাংলাদেশ পিপলস পার্টিসহ সকল গণতন্ত্রকামী দলের আহ্বানে ভোটাররা ভোট দানে বিরত থাকায় সকল ভোটারদের ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, এ দেশে এখন সংসদ সদস্য ৬৫০ জন। সংসদ ভেঙে না দিয়ে আবার নির্বাচিত হওয়া যায়- এটা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। এই সরকার কোনো আইনকানুন মানে না।

বিপিপির এই মহাসচিব বলেন, দেশে মাদক মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। তরুণ-যুবকরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে, সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। পাঠ্যপুস্তকে শরিফ-শরিফা গল্প দিয়ে এ দেশের ছোট ছেলেমেয়েদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই সরকার জানে তরুণ-যুবকদের বিভ্রান্ত করতে পারলে আজীবন ক্ষমতায় থাকা যাবে। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখাই এই সরকারের লক্ষ্য।

গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে সার্টিফিকেট আনলেও বাংলাদেশের জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ একতরফা, পাতানো ও ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে- দলীয় সরকারের অধীনে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্রের বিজয় অর্জন করার লক্ষ্যে আমাদের রাজপথের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

বিপিপির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের একাংশের নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিপিপির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, গণফোরামের সভাপতি পরিষদ সদস্য রতন ব্যানার্জী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হাসান, জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পাদক রনজিৎ সিকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলু, শেখ শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন সুমন প্রমুখ।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।