
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কের বাসায় অনশনে বসেছেন খাইরুন নেছা পুষ্প (৩০) নামের এক নারী। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডের মাস্টার মহল্লায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় অনশনে বসেন।
সাবেক ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম হুমায়ুন কবির রাজন। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত মুনছুর আলীর ছেলে। এছাড়াও তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও উত্তর আইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপরদিকে অনশনে বসা খাইরুন নেছা পুষ্পের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নে। ১০ বছর আগে চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কাশেম মিঝির ছেলে মো.আমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নারীর।
বিয়ের পর তাদের সুখের সংসার ছিল। এবং সেই সংসারে তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। খাইরুন নেছা পুষ্প জানান, রাজন তার স্বামীর ফুফাতো বোনের জামাই। ২০২৩ সালে রাজনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। আত্নীয় সম্পর্কের জেরে প্রায়ই তাদের মধ্যে ফোনে ও মেসেঞ্জারে কথা হতো। একটা সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পরকীয়া প্রেমে জড়ান তারা। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাইজিদ থানার পাহাড়িকা আবাসিক এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে কিছু দিন থাকার পর তার নিজ স্বামী আমানকে তালাক দেওয়ার পরামর্শ দেন।
রাজনের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বামী আমানকে তালাক দেন পুষ্প। এরপর গত বছরের জুলাই মাসের ৩১ তারিখে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের কিছুদিন পরই গর্ভবতী হন পুষ্প। পরে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান রাজন। এরপর থেকেই পুষ্পের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন তিনি। রাজনৈতিক সমস্যা দেখিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দেন।
তার কথা মতো সন্তান নষ্ট করেন পুষ্প। এরপর থেকে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রাজন। আত্নগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা ও শিক্ষক হুমায়ুন কবির রাজনকে মুঠোফোনে পুষ্পের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। এবং তার প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগম বেনুকে দোষারোপ করেন। তার স্ত্রীর আত্মীয়তার সূত্র ধরেই ওই নারীর সাথে পরিচয় হয়। মেয়েটার চরিত্র ভালো নয়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই বিষয়ে এখন পযন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |