অন্তরঙ্গ মুহূর্তে স্বামীকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুন করেছেন স্ত্রী। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নদীয়ার করিমপুরের রামনগর এলাকায় স্বামীর জমানো ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে প্রেমিকের সাথে সংসার বাঁধতেই এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে অভিযুক্ত সুমনা মণ্ডল।
পুলিশের জেরায় স্বীকারোক্তিতে স্বামী খুনের অভিযোগে আটক নারী জানান, ইউটিউবে ভিডিও দেখে স্বামীকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন স্ত্রী।
আটক সুমনা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, স্বামী অনুপ মণ্ডলের কাছে গচ্ছিত ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। এরপর বিভিন্ন পরিকল্পনার পর স্বামীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এক সাথে এত অর্থ এবং প্রেমিকের সঙ্গে থাকার হাতছানি— এই দুই প্রলোভনে প্রেমিকের দেওয়া ইলেকট্রিক তার ব্যবহার করে স্বামীকে খুন করেছেন সুমনা। কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত অনুপ ও সুমনার বিয়ের আগে, সুমনার আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। পাশাপাশি বাপের বাড়ির কাছে বিজন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রেম হয় সুমনার।
জানা যায়, বাড়ি তৈরির জন্য পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা সুমনার কাছে রেখেছিলেন অনুপ। সেই খবর পান প্রেমিক বিজনও। এরপরেই শুরু হয় অনুপকে খুনের পরিকল্পনা।
ইউটিউব ভিডিও দেখে স্বামীকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুনের পরিকল্পনা করেন সুমনা। পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সময় খুনসুটি করে ইলেকট্রিকের তার দিয়ে প্রায়ই তার হাত-পা বেঁধে ফেলতেন স্ত্রী। এই ভাবে এক দিন প্রেমিকের দেওয়া মোটা তামার তার দিয়ে স্বামীর হাত বেঁধে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটিয়ে দেন সুমনা।
পরে স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করে প্রেমিকের সাহায্যে বাড়ির পিছনের বাঁশবাগানে ফেলে দিয়ে আসেন। ইলেকট্রিক শক খেয়ে অনুপের গোঙানির শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে বাবা-মা এক বার উঠে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের ঘরের দরজা থেকেই ফিরিয়ে দেন সুমনা। শ্বশুর-শাশুড়িকে আশ্বস্ত করে বলেন, “সব ঠিক আছে।”
বস্তুত, অনুপের হাতে পোড়া দাগ দেখে প্রথম সন্দেহ হয় পুলিশের। সুমনাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দিতেন। পরে সুমনাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এবং অনুপের পরিবারের বাকি সদস্য এবং প্রতিবেশীদের বয়ানে বেড়িয়ে আসে হত্যার পুরো পরিকল্পনা। আটক করা হয় প্রেমিক বিজনকেও।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |