হে’ফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ শনিবার (০৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগ এর কিছু লোক। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ সময় মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী যিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শহিদুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী ছিলেন। এ ঘটনার পর এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেই শহিদুল ইসলামকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
রোববার (০৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়। জানা গেছে, জান্নাত আরা ঝর্ণা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেঝো মেয়ে। ওলিয়ার রহমান কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রচারের পর এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উপজেলাজুড়ে এখন ঝর্ণাকে নিয়েই চলছে আলোচনার ঝড়।
এদিকে সরেজমিনে রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে ঝর্ণার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পিতা ওলিয়ার রহমান ও মাতা শিরীনা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার নয় বছর বয়সে বিবাহ হয়েছিল হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ
নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুড়িয়া এলাকায়। তাদের আব্দুর রহমান (১৭) ও তামীম (১২) নামে দুজন পুত্রসন্তান রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানান, পারিবারিক ক’লহের জেরে আড়াই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপরে দু’বছর আগে পরিবার থেকে পাত্র দেখে মেয়েকে বিবাহ করার কথা বললে সে বলত তার বিবাহ হয়ে গেছে, তাই তার জন্য আর কোনো পাত্র না দেখতে। তবে কার সঙ্গে সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, সে কথাটি পরিবারকে জানায়নি কখনো। শুধু একবার ভিডিও কলে তার দ্বিতীয় স্বামী মামুনুল হককে দেখিয়েছিল কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি তিনি ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক।