সিলেট সরকারি কলেজে বি’তর্কিত টিকটক তারকা ‘অপু ভাই’ নিজে নেচে অন্যদেরও নাচিয়ে গেছে। তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয়-আদর-আপ্যায়ন-আস্কারা সবই দিয়েছে কলেজ ছাত্রলীগ।
কিন্তু নিয়ম মেনে নয়, নিয়ম বহির্ভূতভাবেই এমন কাজ করেছে তারা! সুস্থ ধারার বিনোদনের পরিবর্তে অপসংস্কৃতিতে আসক্ত এমন তারকাকে নিয়ে মৌজ-মা’স্তির ঘটনায় চলছে তোলপাড়।
কলেজ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে শুক্রবার (১৯ মার্চ) নিজস্ব দাপটে অডিটোরিয়াম খুলে এমন অনুষ্ঠান করেছে ছাত্রলীগ। বাধ্য করেছে কলেজ কর্মচারীকে অডিটোরিয়াম খুলে দিতে।
কলেজ কর্মচারী ইদ্রিস আলী ছাত্রলীগ নেতাদের দা’পটের কাছে ছিল কার্যত অসহায়। এ অনুষ্ঠানে কোন অঘ’টন ঘটলে, কে নিত দায়দায়িত্ব এ প্রশ্ন এখন সংশ্লিষ্টদের।
এমসি কলেজ ছা’ত্রাবাস করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও খোলা রেখেছিল ছাত্রলীগের বে’পরোয়া নে’তাকর্মীরা। অনেকে আশংকা করছেন ‘অপু ভাই’ কে নিয়ে হয়তো কোন অপ্রত্যাশিত অ’ঘটনে জ’ড়িয়ে পড়ত সরকারি কলেজের সুনাম।
সুশিক্ষা বিস্তারের সিলেট সরকারি কলেজের খ্যাতি ব্যাপক। খ্যাতির তকমাকে ম্লান করে দিয়েছে ‘অপু ভাই’ কে নিয়ে ছাত্রলীগের মাখামাখিতে। এমনকি ‘শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি’ এমন শ্লোগানের ধারণ লালনে কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা কতখানি উদাসীন তারও প্রমাণ মিলছে এ ঘটনায়। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ‘অপু ভাই’কে নিয়ে জমজমাট অনুষ্ঠান করলেন ছাত্রলীগ নেতারা। বিকেল ৫টায় কলেজ অডিটোরিয়ামের তালা অবৈধভাবে খুলে শত শত তরুণদের নিয়ে করলেন আনন্দ ফুর্তি।
তবে এরকম ঘটনা সিলেট সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে যে ঘটেছে তা জানেন না কলেজের অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম। তিনি রোববার এ ঘটনা শুনেন। শুক্রবার কলেজে ছিল ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছিলেন তিনি। খবর পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের তলব করে ঘটনার সত্যতা পান অধ্যক্ষ। তারপর কলেজ কর্মচারী ও অডিটোরিয়ামের চাবি রক্ষক ইদ্রিস আলীকে শোকজ করেছেন এ-ঘটনায় তিনি।