কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,২৩ ফেব্রুয়ারী সিএমএম আদালতে হাজিরা দিতে এসে
যিনি সুস্থ সেই মুশতাক আহমেদ হঠাৎ স্ট্রোক করে ২৫ তারিখ মারা যাবেন তা আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ কার্টুনিস্ট কিশোরকে মে’রে কানের পর্দা ফা’টিয়ে দেয়া হয়েছে, পা ভে’ঙ্গে দেয়া হয়েছে।
কানে পুঁজ জমছে অথচ চিকিৎসা নেই। যদি তার স্বাভাবিক মৃ’ত্যুও হয়ে থাকে তবুও এর তদন্ত চাই নিরপেক্ষ কোনো কমিটির মাধ্যমে। আগামী সপ্তাহে কার্টুনিস্ট কিশোর ও মুশতাকের হাইকোর্টে জামিন শুনানী হওয়ার কথা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আ’টক এবং কা’রাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ কাশিমপুর কা’রাগারে মা’রা গেছেন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ুম।
এছাড়া এ নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেনঃ ‘ডিজিটাল আইনে কারাবন্দী মুশতাক আহমেদ আর নেই’।উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের পুলিশ জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং লেখক মুশতাক আহমেদকে ঢাকার বাসভবন থেকে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে ‘ফেসবুকে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো’, ‘জাতির জনকের প্রতিকৃতি’, ‘জাতীয় সংগীত’ এবং ‘জাতীয় পতাকাকে’ অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
মুশতাক আহমেদ কুমির চাষের ডায়েরি নামে বইয়ের লেখক, তিনি ‘মাইকেল কুমির ঠাকুর’ নামে একটি ফেসবুক পাতাও পরিচালনা করতেন, যাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য উঠে আসতো। আটক করার পর তাদেরকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল।