ওয়াজ মাহফিলে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে সরকারকে আইনি নোটিস দিয়েছেন এক আইনজীবী৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াজ মনিটরিংয়ে কমিটি গঠন করার কথা ভাবছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন৷
ওয়াজ শোনা ও দেখা নাকি হারাম তাই ওয়াজ মাহফিলে নিষিদ্ধ করলেন দাউদকান্দির উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব:)। লাইভ টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন ওয়াজের নামে যারা ধর্ম ব্যবসা করেন তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের ওয়াজ শুনলে বা দেখলে গুনাহ হবে। ধর্মের নামে যারা ব্যবসা করেন তাদের ওয়াজ শোনা হারাম।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান ১৮ জানুয়ারি সরকারের চারটি সংস্থাকে পাঠানো নোটিশে অভিযোগ করেছেন, ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় বক্তৃতায় নানা ধরনের কাল্পনিক গল্প৷
রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে৷ কারো বক্তব্য জঙ্গিবাদ উসকে দিচ্ছে৷ ওয়াজে নানা ধরনের গল্প ও কবিতা বলা হয়ে থাকে যা ইসলামের সাথে যায় না৷ তাই আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ওয়াজের মধ্যে এগুলো নিষিদ্ধ করতে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব৷
ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে নোটিশ দিয়েছেন তিনি৷ এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা না করলে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্টে রিট করবেন বলে জানিয়েছেন৷
অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান বলেন, ”বাংলাদেশ সংবিধানের ২ (ক) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম৷ তাই ইসলাম ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং ইসলাম ধর্ম সঠিকভাবে প্রচার করা সরকারের আবশ্য দায়িত্ব৷
বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় বক্তৃতায় বক্তারা যেন পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের রেফারেন্স উল্লেখ করে বক্তব্য দেন এবং রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য পরিহার করেন, এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া দরকার৷
তিনি প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থের অনুবাদ পড়ানো বাধ্যতামূলক করারও দাবি জানিয়েছেন৷