একের পর এক অভিযোগ পিছু ছাড়ছেই না ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের। সময় শেষ হওয়ার আগেই বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসকদের চলে যাওয়া,
ভর্তি রোগীদের বালিশ-কম্বল না দেয়া, মেরোপেনাম ইঞ্জেকশন সঙ্কট ও শৌচাগারের দুরবস্থাসহ নানান অভিযোগ রয়েছে জেলার এই সর্ববৃহৎ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে বহির্বিভাগের ১১১নং কক্ষে চিকিৎসকের পাশাপাশি
সরকারি টিকিটে ওষুধ (প্রেসক্রিপশন) লেখেন দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে বেতন নেয়া শ্রমিক। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচতলায় ১১১নং কক্ষের দরজার সামনে রশি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা দেয়া,
যেন করোনার মহামারি থেকে সুরক্ষায় চিকিৎসকরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারেন। রোগীরা দরজার বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কক্ষের ভেতরের টেবিলে একজন নারী চিকিৎসক চিকিৎসা দিচ্ছে।
তার সামনে আরেকটি টেবিলে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সরকারি টিকিটে ওষুধ লিখছেন শিপু নামের এক ব্যক্তি। শুধু সরকারি টিকিটই নয়, বিনামূল্যে রোগীদের সরবরাহ করতে ওষুধের স্লিপেও লিখে চলেছেন তিনি। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা অনেকেই তাকে চিকিৎসক ভেবে ‘স্যার স্যার’ বলেও সম্বোধন করছিলেন।
হাসপাতালের কোন পদে আছেন জানতে চাইলে শিপু বলেন, আসলে আমার এক পরিচিত লোক ওষুধ নিতে আসছিল। তাই স্লিপে হাসপাতালের সিল দিয়ে তাকে ওষুধ লিখে দিচ্ছিলাম।
এটা নিয়মের মধ্যে ছিল না বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে বেতন নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, বহির্বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে অনেক সময় মেডিকেলের ছাত্ররা টিকিটে ওষুধ লিখে থাকেন। এছাড়া অন্য কেউ তাতে ওষুধ লিখতে পারেন না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।