শুক্রবার ২৬ শর্তে গণঅধিকার পরিষদকে (নুর) ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালভার্ট রোডে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনুষ্ঠেয় এই সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে এতে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।এর আগে এই সংহতি সমাবেশের অনুমতির জন্য বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপিতে আবেদন করে গণঅধিকার পরিষদ।শর্তগুলো হলো –
১/ এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট করে টিকে অনুমান নিতে হবে।
২/ স্থান ব্যবহারের অনুমতি পাব যথাভাবে পালন করতে হবে।
৩/ অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪/ নিরাপত্তার জন্য নিজ ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৫/ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৬/ নিজস্ব ব্যবস্থাপনার প্রতিটি প্রবেশ গেটে আর্কওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৭/ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চেকিং Vehicle Scanner/ Search Mirror এর মাধ্যমে সমাবেশস্থলে আগত সকল যানবাহন তল্লাশির এর করতে হবে।
৮/ নিজ ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৯/ অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।
১০/ অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
১১/অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তার বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
১২/ আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
১৩/ ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১৪/ সমাবেশ শুরুর ০২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।
১৫/ ১৫.০০ ঘটিকায় শুরু করে ১৭.০০ ঘটিকার মধ্যে সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
১৬/ অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তার কোন অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
১৭/ সমাবেশে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরনের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।
১৮/ আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৯/ রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
২০/ উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
২১/ জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।
২২/ নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোন গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
২৩/ সমাবেশস্থলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
২৪/ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক সমাবেশ পরিচালনা করতে হবে।
২৫/ উল্লিখিত শর্তাবলি ভালোভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২৬/ জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ গণমাধ্যম কে বলেন,আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই লিখিত আবেদন করেছি। সমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়ে আবু হানিফ বলেন, আমরা এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে, আশা করি বড় লোকসমাগম হবে।