জীবনধারাদেশজুড়ে

১০ বছর পর ঢাকায় প্রকাশ্যে জামায়াতের সমাবেশ, যা বললেন নেতারা

Is Jennifer Aniston currently in a relationship?

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও আলেম-ওলামার মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। প্রায় ১০ বছর পর ঢাকায় প্রকাশ্যে সমাবেশ করার সুযোগ পেলো দলটি। এতদিন তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সমাবেশ করে দলটি। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন। আর সেটা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেটা করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই করতে হবে।

সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের দাবি মেনে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিষয়টি ২০২৪ সালে এসে যদি আওয়ামী লীগ বোঝে, তাহলে আসুন আলোচনা করুন। না হলে দাবি আদায়ে আমরা আন্দোলন করবো। জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এবং হামলায় বিশ্বাস করে না।

দীর্ঘ সময় পর সমাবেশের সুযোগ পেয়ে উৎসবমুখর ছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জায়গা না হওয়ায় বাইরেরও অবস্থান নিয়েছিলেন দলটির কর্মীরা। এতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত

কেন্দ্রীয় আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের বক্তব্য পড়ে শোনান অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। বক্তব্যে বলা হয়, এ দেশের মানুষ আর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন মানবে না। তাই শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার যত দ্রুত এটা বুঝবেন, তত দ্রুত দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। এই একটি দাবি পূরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াতে ইসলামী ১০ দফা দাবি পেশ করে। এর মধ্যে রয়েছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, আটক জামায়াতের নেতাদের মুক্তি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-মহানগরীর সব কার্যালয় খুলে দেওয়া, আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, আরমান আহমদ বিন কাসেম, জাকির হোসাইন, ছাত্রশিবিরের নেতা আল মোকাদ্দাস ও মোহাম্মদ ওলিউল্লাহসহ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান দেওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা, বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সব দল যদি রাজপথে সভা-সমাবেশ করতে পারে, জামায়াতে ইসলামীও পারবে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সেই অধিকার আদায় করবো। জামায়াতে ইসলামী আবিষ্কৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা সঠিক। অতীতে তিনটি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগের অধীনে আর নির্বাচন নয়।

দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম, প্রথমে অনুমতি দেয়নি। পরে তারা নিবন্ধন না থাকার কথা বলতে থাকে। জামায়াত তো ২০০৮ সালে নিবন্ধিত। নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, ফলে বিচার শেষ না হওয়ার আগে জামায়াতকে অনিবন্ধিত দল বলার সুযোগ নেই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আবদুর রহমান মুসা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগররে আমির আবদুর জব্বার, ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker