স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেননি সায়মা ওয়াজেদ

জাতীয়: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে মনোনয়ন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এসইএআরও সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। এটি ডব্লিউএইচও’র ছয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মধ্যে একটি। তনি মনোনয়ন পেশ করেন গত ৪ সেপ্টেম্বর।

ডব্লিউএইচও’র এই পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্ন এতে জড়িত। সায়মা ওয়াজেদের পাশাপাশি পদের জন্য লড়ছেন নেপালের শম্ভু প্রসাদ আচার্য (৬৫)। জনস্বাস্থ্যের ওপর তার তিন দশকের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এই পদে নির্বাচন ঘিরে দেখা দিয়েছে কিছু অস্বাভাবিক প্রশ্নের। অনেকের দাবি সায়মা ওয়াজেদ হয়তো স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি এমনটা করেননি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া।

সায়মা ওয়াজেদ একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আইনজীবী। তিনি এ পর্যন্ত যথেষ্ট ভাল সমর্থন পেয়েছেন। তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসকদের অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট অমিত চক্রবর্তী।

অমিত চক্রবর্তী ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সায়মার মনোনয়ন নিয়ে যারা কথা তুলছেন, তারা পক্ষপাতদুষ্ট। এর মধ্যে কোনও সারবত্তা নেই ও তারা খুব সচেতনভাবে ভুয়া খবর ছড়াতে চেষ্টা করছেন।’

অমিত সায়মা সম্পর্কে বলেন, ‘উনি এই পদের জন্য সেরা চয়েস। উনি যদি এই পদে আসেন তা হলে ডব্লিউএইচও আরও অনেক বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে।’

এই চিকিৎসক মানসিক স্বাস্থ্যের উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘অতিমারীর পরে বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছেন। সায়মা এই পদে এলে উনি এই বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিতে পারবেন।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

২০১৩ সাল থেকে ডব্লিউএইচও’র মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে সংস্থাটি তাকে ‘ডব্লিউএইচও এক্সেলেন্স’ পুরস্কারে ভূষিত করে।