‘স্ত্রী বলার কারণে আমি এই পথে এসেছি’ পোস্টার ভাইরাল

এক্সক্লুসিভ সংবাদ: স্ত্রী বলার কারণে খুলনা-৬ আসনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান কয়রা উপজেলার বাতিখালি এলাকার বৃদ্ধ মো. আনছার আলী সরদার। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীতার কথা জানান দিয়ে এলাকায় পোস্টার লাগিয়েছেন তিনি। তার সেই পোস্টারের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও হাট-বাজারে সম্প্রতি আনছার আলী একটি পোস্টার লাগিয়েছেন। ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, গরীব ও দুঃখীর সঙ্গী মো. আনছার আলী সরদার। সকালের দোয়া, আশীর্বাদ ও সমর্থন প্রত্যাশী। এছাড়া পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘স্ত্রী বলার কারণে আমি এই পথে এসেছি।

তার এই পোস্টারের ছবি তুলে অনেকেই ফেসবুকে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তা ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে কেউ ইতিবাচক, আবার কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। তার এই পোস্টার নিয়ে সরস আলোচনা চলছে কয়রার চায়ের দোকানগুলোতে।

এ ব্যাপারে আনছার আলী বলেন, আমার স্ত্রী বলতো এলাকার বেশিরভাগ মানুষ গরীব। তারা অভাব-অনটনে থাকে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। কোনো এমপি আজ পর্যন্ত এলাকার গরীব মানুষির জন্য কিছু করেনি। সে (স্ত্রী) আজ নেই, তার কথাগুলো আমি অন্তরে ধারণ করে আছি। দেখি তার স্বপ্ন পূরণে কিছু করতি পারি কি না। জনগণ চাইলে আমি এমপি হইয়ে এই কাজগুলো করবো।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেটি ছোট, বাবার সঙ্গে থাকে। তিনি একটি মাছের ডিপোর ম্যনেজার হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া তার কিছু ফসলি জমি রয়েছে।

বাতিখালি এলাকার বাসিন্দা শাহজামান বাদশা বলেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর আনছার আলী কিছুটা মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে পড়েছেন বলে মনে হয়। কিছুদিন ধরে তিনি এলাকার বিভিন্নস্থানে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে পোস্টার লাগাচ্ছেন। তার সন্তানরা নিষেধ করেও তাকে থামাতে পারছে না। বলছেন স্ত্রীকে দেয়া কথা রাখতে এ পথে নেমেছেন তিনি।

তবে আনছার আলী বলেন, আমি পাগল না, প্রার্থী হয়েছি গরীব মেহেনতি মানুষের জন্য কাজ করতে। আমি এমপি হতে পারলে এলাকায় কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করবো।