জাতীয়: সিলেটের বিশ্বনাথে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সোমা নামের এক মেয়ের প্রেমকাহিনীর দায়েরী মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। এনিয়ে সমগ্র উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, ২১সালের ৫নভেম্বরে উপজেলার বাইশঘর গ্রামের খেজুর মিয়ার ছেলে সিজিল মিয়ার সাথে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক পূর্ব চান্দশিরকাপন গ্রামের বাসিন্দা জুবেদ মিয়ার মেয়ে সোমা বেগমের বিবাহ হয়। সোমা যথারীতি স্বামীর সংসার করে আসছিল। স্বামী সিজিল উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি ছিলেন।
স্বামীর ঘরে থেকেও সোমা অপর একটি ছেলের সাথে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্বামীর ঘরের মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে পালিয়ে যায়। প্রেমিক সাহেল আহমদ এয়ারপোর্ট থানার উমদার পাড়া গ্রামে ফারুক মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর সোমার মা ছইদা বেগম উমদার পাড়া গ্রামে সাহেলের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সাথে দেখা করে মেয়েকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়ে প্রেমিকে ছেড়ে আসতে রাজি হয়নি।
এদিকে স্বামী সিজিল বিশনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে স্ত্রীকে খুজতে থাকেন। ইতিমধ্যে মেয়ে না আসায় ছইদা বেগম পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের সাথে দেখা করলে তিনি আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। উপজেলা জেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও তার সহকারি সিজিলের বিরুদ্ধে অপহরণ ও গুমের মামলা করেন ছইদা। কিন্তু মামলার এজহারে উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার নাম লেখা হয়েছে বাদিনী তা জানতেন না।
এ মামলা আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। সিজিলের জিডির উপর ভিত্তিকরে থানা পুলিশ সোমা ও প্রেমিক সাহেলকে আটক করে নিয়ে আসে এবং আদালতে তাদেরকে প্রেরণ করা হলে সোমা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার জিম্মায় তাকে জামিন দেয়া হয় এবং প্রেমিক সাহেলকে ৫৪ ধারা অভিযোগে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে মামলা পাল্টা মামলার জের ধরে এ মামলায় আসামি করা হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যানকে বাদীনির দায়েরী মামলায় আসা করা হয়েছে এ কথা লোক মুখে জানতে পেরে বাদিনী ছইদা বেগম আতগোপনে চলে যান। তাকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছইদা বাসা ও কর্মস্থল কালিগঞ্জ মহিলা মাদলাসায় গিয়েও খুজে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বলেন, মেয়র মুহিবুর রহমান আমার বিরুদ্ধে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হওয়ায় একজন অজ্ঞ মহিলাকে দিয়ে অপহরণ মামলার আসামি করে নিজেই অপমানিত হয়েছেন। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে বাদিনী ও ষড়যন্তকারিকে মিথ্যা মামলা দায়েরের কারনে অভিযুক্ত করে চার্জশীচ দাখিল করবে বলে বিশ্বাস করি।
পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান সাংবাদিকেদের বলেন, মহিলাটি আমার নিকট এসে তার মেয়ে অপহরণের ঘটনা জানালে আমি আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেই। কিন্তু সে কাকে আসামি করেছে তা আমার জানা নেই।