রাজনৈতিক: সরকার পতনের একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। চলতি মাসের শেষের দিকেই এই আন্দোলন কর্মসূচির সূচনা হতে পারে। সম্ভাব্য কী ধরনের কর্মসূচি দেয়া হবে তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছেন বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা।
এ বিষয়ে গতকাল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আজ ঢাকায় বিএনপি’র সমাবেশ থেকেই পরবর্তী ধাপের কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে। দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি সময় বেঁধে দেয়া হতে পারে এই সমাবেশ থেকে। দলীয়ভাবে এসব আলোচনা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো আভাস মিলেনি।
এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখছেন শীর্ষ নেতারা। যদিও গতকাল নয়া পল্টনে যুব সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলনে যাচ্ছেন তারা। দলীয় সূত্র জানায়, পরবর্তী ধাপের আন্দোলন কর্মসূচি বুধবারের সমাবেশ থেকেই ঘোষণা দেয়া হতে পারে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, বৈঠকে আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলা হয়েছে। জবাবে জোট নেতারা বলেছেন, আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করবো।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, সমমনা দল ও জোটগুলোকে যুগপৎ আন্দোলনে সবাইকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে বলা হয়েছে। আর বলা হয়েছে যে, এই আন্দোলনে সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা নির্মাণ করবো।গত বছরের ১০ই ডিসেম্বর থেকে সরকার পতনের রূপরেখা ঘোষণা করে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, লেবার পার্টি, এনডিএমসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এরপর থেকে যুগপৎ ধারায় আন্দোলন করে আসছে তারা।