সমাবেশ থেকে সরকারকে সময় বেঁধে দিতে চায় বিএনপি

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ১৮ই অক্টোবর ঢাকায় জনসমাবেশ করবে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এই সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়ার ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে কথা বলছে বিএনপি। এরমধ্যে অধিকাংশ দলই সরকারকে পদত্যাগের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে আল্টিমেটাম দেয়ার পক্ষে নিজেদের মতামত দিয়েছে। সমাবেশের মধ্যদিয়ে আন্দোলনে বাঁক পরিবর্তন করার মতো কর্মসূচিও আসতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে গত ৫ই অক্টোবর চট্টগ্রামে রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৮ই অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ থেকে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেটা যেন হয় সরকার পতনের শেষ কর্মসূচি। দুর্গা পূজার ছুটির পর থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হবে।

বিএনপি’র নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৮ই অক্টোবর ঢাকায় জনসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে কর্মসূচি নির্ধারণে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও জোটের শীর্ষ নেতারা আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন। এরমধ্যে বেশির ভাগ নেতাই সরকারকে সময় বেঁধে দেয়ার পক্ষে তাদের মতামত দিয়েছেন।

তবে এখনো এটা চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে। কিন্তু সরকারকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়ার আল্টিমেটামকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে বাঁক পরিবর্তন করার মতো কর্মসূচি আসতে পারে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান মানবজমিনকে বলেন, আগামী ১৮ই অক্টোবরের সমাবেশে কী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। সমাবেশের ঠিক আগের মুহূর্তে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।

যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক শীর্ষ নেতা জানান, সরকার পতনে বিরোধী দলগুলো শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে। সমাবেশ, অবস্থান, পদযাত্রা, রোডমার্চ ও গণমিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু সরকার কথা শুনছে না। তাই এবার বিরোধী দলগুলো সরকারকে কথা শোনাতে চায়। এজন্য যে ধরনের কর্মসূচি দেয়া প্রয়োজন, সেটাই দেয়া হবে। প্রয়োজনে ঘেরাও, হরতাল, অবস্থান এবং অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়া নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না মানবজমিনকে বলেন, কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ আল্টিমেটামের বিষয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন। তবে এখনো এটা চূড়ান্ত হয়নি। আরও আলোচনা হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারকে দাবি মেনে নেয়ার কথা আমরা বলছি। এখন বল সরকারের কোর্টে। তারা যদি জনগণের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয় তাহলে সেটা তাদের জন্যই মঙ্গলজনক হবে। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্যদিয়ে দাবি আদায়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।