দেশজুড়ে: রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্রশিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মিছিলটি ঢাবির ডাস চত্বরে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে শাহবাগে ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আজকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির মতিঝিলে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজকের এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার একটি পদক্ষেপ। আগামীকাল ছাত্র কনভেনশনের লক্ষে তারা এই মিছিল বের করে যা নিঃসন্দেহে ঢাবিসহ সকল ক্যাম্পাসে লাশের রাজনীতি কায়েমের চেষ্টার অংশ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের নিশ্চয়তা চাই। বিগত ১৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশনজটে পড়তে হয়নি, কোনো ছাত্র হত্যা হয়নি, শিক্ষাঙ্গনে কোনো লাশ নিয়ে মিছিল করতে হয়নি। কোনো ধরনের ককটেল বোমা ফোটেনি কিন্তু লন্ডন থেকে যারা টেকসেশন দিবে লাশের রাজনীতি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থান নিব এবং কালকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে আসে তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে।
তিনি আরও বলেন, রক্তের হোলি খেলবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েই দেশকে স্বাধীন করেছে। সুতরাং আগামীকালের কনভেনশনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে লাশের রাজত্ব কায়েমের অপচেষ্টা করবেন না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও কাজ করে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক ইউসুফ তুহিন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন চাই না। আজকে মতিঝিলে একদল রাজাকারের দোষর মিছিল করেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিতে চাই যদি তাদেরকে ঢাবি ক্যাম্পাস বা দেশের কোথাও এমন সাম্প্রদায়িক কাজ দেখা যায় তাহলে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এবং প্রগতিশীল মানুষরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে। যেই দেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে এবং ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, সে দেশে আমরা এমন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধতার দাবি জানাই।
জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক স্বাগতম বাড়ৈ বলেন, আজকে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে রাজাকারদের দোষর ছাত্র শিবির প্রকাশ্যে মানুষকে হুমকি দিয়ে মিছিল করেছে। তারা যদি দেশের সংবিধান মেনে মিছিল করত তাহলে আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু তারা বাঁশ এবং জিআই পাইপ নিয়ে মিছিল করেছে। বঙ্গবন্ধুর এই বাংলায় আমরা কোন মৌলবাদীদের মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে দিবো না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাশেদ হোসেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক বিল্লাহ, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সদস্য কথক বিশ্বাস জয়, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমাইয়া জান্নাত সারা প্রমুখ।