লিভ-ইন পার্টনারের দেহ টু’করো টু’করো করল প্রেমিক

শ্রদ্ধা ওয়াকারের সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের রেশ না কাটতেই ভারতে ঘটে গেল আরেক লোমহর্ষক হত্যা।
আফতাব আমিন পুনাওয়ালা নয় এবার আসামি হচ্ছেন ৫৬ বছর বয়সী মনোজ সাহানি। সরস্বতী বৈদ্যের সঙ্গে মুম্বাইয়ের একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে তিন বছর ধরে থাকতেন মনোজ।
মিরা রোডের আকাশগঙ্গা নামের ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে ভয়াবহ পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আশপাশের বাসিন্দারা। এই ফ্ল্যাটে বিবাহিত দম্পতির মতোই থাকতেন ওই যুগল।
বুধবার (৭ জুন) ফোন পেয়ে পুলিশ তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে যান। সেখানে এক নারীর দেহের টুকরোগুলোর মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়, লিভ-ইন পার্টনারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার মৃতদেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এর পর সেখান থেকে গা ঢাকা দিয়েছে হত্যাকারী। মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জায়ান্ত বাজবেলে এসব তথ্য দিয়েছেন।
এর আগে, ২০২২ সালের ১৮ মে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধার বাবা মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে পুলিশের দ্বারস্থ হলে, তখন ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শ্রদ্ধার খুনের সঙ্গে ২০১০ সালে দেহরাদুনের খুনের ঘটনার কী মিল রয়েছে?
২০১০ সালে উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুনে খুন হন অনুপমা গুলাটি। তাঁকে খুন করেছিলেন তাঁরই স্বামী রাজেশ গুলাটি। আফতাব যেভাবে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল, একইভাবে ১২ বছর আগে রাজেশ গুলাটিও স্ত্রী অনুপমার দেহ ৭০ টুকরো করে ফেলেছিল। আফতাব ও রাজেশ, দুইজনই মৃতদেহ সংগ্রহ করে রেখেছিল ফ্রিজের ভিতরে।
প্রেমিকার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রেখেছিলেন। এরপর প্রতিদিন একাধিক নারীকে বাড়িতে ডেকে মেতেছেন উদ্দাম যৌনতায়। তার কীর্তি ফাঁস হয়েছে দীর্ঘ ৬ মাস পর। কিন্তু সমাজমাধ্যমে নিজের ‘অন্য রূপ’ তৈরি করে রেখেছিলেন তিনি। যা দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি আদতে কতটা ‘নৃশংস খুনি’ হয়ে উঠতে পারেন।
প্রেমিকাকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন আফতাব আমিন পুণাওয়ালা। দিল্লির সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কার্যত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। আফতাবের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছে গোটা ভারত। প্রেমিকা শ্রদ্ধার টুকরো টুকরো দেহাংশ ফ্রিজে রেখে আফতাব অন্য মেয়েদের সঙ্গে একই বাড়িতে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। শ্রদ্ধাকে খুনের পর একাধিক নারীকে বাড়িতে ডেকে আফতাব মাততেন উদ্দাম যৌনতায়!