
আজ ৯ জিলহজ আরাফা দিবস, পবিত্র হজ। আজ থেকে সাড়ে ১৪শত বছর আগে মহানবী হযরত মোহাম্মদ( সা:) এই আরাফার ময়দানে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বিদায় হজ্বের ভাষণ দিয়েছিলেন। চলতি বছর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হজে সমেবেত ২৬ লাখেরও অধিক হজ যাত্রীরা
গতকাল সারাদিন মিনায় অবস্থান, সারারাত রাতে এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করে ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে হজ যাত্রীদের কাফেলা লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক ধ্বনিতে যোহর নামাজের আগেই পৌঁছেন খোলা আকাশের নিচে এই আরাফা ময়দানে।
মক্কা থেকে মিনা, মিনা থেকে আরাফা ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে অবস্থানেও হজ যাত্রীদের মধ্যে কোনো ক্লান্তি ছিলনা। আগত মুসল্লিরা মক্কা মিনা ও আরাফা ময়দানের পুরো সময়টুকু ইহকালের কামনা বাসনা ত্যাগ করে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার নিকট নিজেকে সমর্পণ করে নিজের গোনাহ্ থেকে পরিত্রাণ,পরকালে হাসরের ময়দানে নবীর সাফায়েত কামনায় দোয়া জিকির আসকারে আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভের আশায় ।
আরাফা ময়দানে সমবেত হজযাত্রীদের উদ্দেশ্যে খুতবা পাঠ করবেন শেখ ডক্টর ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ, এরপর জোহর ও আসরের মাঝামাঝি সময়ে এক তাকবীরে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা । সূর্য অস্তের সাথে সাথে আরাফা ময়দান ত্যাগ করে হজ যাত্রীরা যাত্রা করবেন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এসারের নামাজ কসরের সাথে আদায় করবেন।
মুজদালিফা থেকেই শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য ৪৯ টি কংকর সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় সারারাত অবস্থানের পর বুধবার ফজরের নামাজ পড়ে হজযাত্রীগণ রওনা দিবেন মিনার উদ্দেশ্যে। প্রথম দিন মিনায় পৌঁছে বড় শয়তানকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মন্ডল ও কুরবানী দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মেতে উঠবেন ঈদের আনন্দে। বুধবার সৌদি আরবস হ মধ্যপ্রাচ্য , আমেরিকা , ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হবে।
এই পর্যন্ত কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি গতকাল পর্যন্ত হজ পালন করতে এসে ৩০ বাংলাদেশি হজ যাত্রী বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে প্রচন্ড গরম ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে অনেক আজকে দেখা গেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ভির করতে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিনসহ বিশ্বের ২৫ টি দেশে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এ বছর হজ পালন করছেন।