
ভারতে থাকা বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ যে কোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালের মার্চে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ৬৩ দিন পর সালাহউদ্দিন আহমেদের খোঁজ মেলে ভারতের শিলংয়ের একটি রাস্তায়।
শিলং পুলিশ তাকে উদ্ধার করে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর জেল খেটে বের হয়ে ভারতেই অবস্থান করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য।
সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তাকে গুম করা হয়েছে। অবশ্য শিলংয়ে খোঁজ মেলার পর বিএনপি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গুমের অভিযোগ আর তোলা হয়নি।
একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের আদালত থেকে খালাস পেয়ে দেশে ফেরার জন্য মে মাসের শুরুতে গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের কাছে ট্রাভেল পাসের আবেদন করেছিলেন সালাহউদ্দিন। এক মাস পর তার ওই আবেদনে সম্মতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরপর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, যে কোনো সময় দেশে ফিরবেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিন বারের সাবেক এই এমপি বিএনপি সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার আগে সালাহউদ্দিন আহমেদ দলটির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত ৫ই জুন শিলং থেকে জার্মানির ডয়চে ভেলে সংবাদমাধ্যমকে দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যে গোয়াহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ট্রাভেল ডকুমেন্টের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো সাড়া পাইনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, গুয়াহাটিতে তার জীবনযাত্রায় ব্যয় মেটানো হচ্ছে পরিবার থেকে পাঠানো অর্থ দিয়ে।
এছাড়া শিলংয়ে বসেই তিনি নিয়মিত ভার্চুয়ালি বিএনপির নীতি-নির্ধারণী বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বলেও জার্মানির ওই সংবাদমাধ্যমে জানান সালাহউদ্দিন।