যে কর্মসূচি আসছে বিএনপির সমাবেশ থেকে

সারাদেশ: সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আজ শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি। তবে চলমান কর্মসূচির শেষ দিনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে নতুন কি কর্মসূচি আসছে তা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগের জন্য চূড়ান্ত বার্তা দেবে দলটি। একইসঙ্গে রাজধানীতে আরও একটি মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হবে। সেই মহাসমাবেশের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ২৭ বা ২৮ অক্টোবর।

এছাড়া, প্রথমে সচিবালয়মুখী পদযাত্রা কিংবা ঘেরাও দিয়ে শুরু হতে পারে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি। এরপর ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও, অবস্থান কর্মসূচি, আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী রোডমার্চ, সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি আসতে পারে। তবে পরিস্থিতি বুঝে কর্মসূচির ধরন পাল্টানো হতে পারে বলে দলটির নেতারা জানিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা যায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচির খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ১৮ তারিখের সমাবেশে কী ঘোষণা দেওয়া হবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি। এই বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জানাবেন। মহাসচিব হয়তো সমাবেশ শেষে সেটি ঘোষণা করবেন।

অপরদিকে, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর মধ্যে রাজধানীতে সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ, সমমনা ১২ দলীয় জোট, সমমনা জাতীয়তাবাদী জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টি।

আরও পড়ুন:বিএনপিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শ

বেলা সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বেলা ৩টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ১২ দলীয় জোট, বিকাল ৫টায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে সমমনা জাতীয়তাবাদী জোট, বেলা ১১টায় ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে লেবার পার্টি, বেলা তিনটায় এফডিসি সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলডিপি সমাবেশ করবে।

এর আগে সরকার পতনের একদফা দাবিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম ধাপের লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এর মধ্যে সাতটি বিভাগীয় রোডমার্চ, শ্রমিক কনভেনশন, মহিলা সমাবেশ ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সব শেষ ৫ অক্টোবরের চট্টগ্রামের রোডমার্চ থেকে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। এর মধ্যে পেশাজীবী কনভেনশন, ছাত্র সমাবেশ এবং যুব সমাবেশ হয়েছে। আজকের নয়াপল্টনের সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উপলব্ধি করতে পেরেছে তাদের ওপর থেকে জনগণের আস্থা উঠে গেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এই সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করবে।