রাজনৈতিক: ঢাকায় জনসমাবেশ করে বিএনপি। সেই সমাবেশ থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ওই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে মহাযাত্রা শুরু হবে।
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিরে যাব না। অনেক বাধা আসবে, বিপত্তি আসবে। সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছুটে যেতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মহাসমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা আশা করছি, এর পরের কর্মসূচির আগেই সরকারের বোধদয় হবে,
তারা পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করবেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন, দেশকে সংকটের হাত থেকে উদ্ধার করবেন। এটা আমরাই শুধু চাই না, আন্তর্জাতিক বিশ্ব চায়—যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা সবাই চায়। যদি সরকারের বোধহয় না হয়, তাহলে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি যুগপৎভাবে পালিত হবে। এ লক্ষ্যে বিএনপির শরিকরাও প্রস্তুতি শুরু করেছে। জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ অংশ নেবেন। এই কর্মসূচি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে চাই। সরকারের কাছে মহাসমাবেশের বার্তা হবে—অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংকট উত্তোরণে তারা একটা কার্যকরী রাজনৈতিক উদ্যোগ নেবে। তারপরও সরকারের যদি বোধোদয় না হয়, পরের দিন থেকে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে আসবে।
স্বীকৃত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যে ফর্মগুলো রয়েছে যেখানে অবস্থান, বিক্ষোভ, ঘেরাও, অবরোধ এমনকি হরতাল পর্যন্ত আছে—পর্যায়ক্রমে সেগুলো আমরা অ্যাপ্লাই করব। তবে আমরা কখন কোনটাতে যাব, সেটা নির্ভর করবে সরকার ও প্রশাসনের আচরণের ওপর। আমাদের লক্ষ্য, শেষ পর্যন্ত পুরো আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ রাখা। আমরা সরকারের উসকানি, সহিংসতা এড়িয়ে কর্মসূচি করতে চাই, যেন লাখ লাখ মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি দমন-পীড়ন চালিয়ে আন্দোলনকে নিঃশেষ করতে চায়, তাহলে সে চিন্তা হবে খুবই হটকারী এবং তা সরকার ও সরকারি দলের জন্য বুমেরাং হতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে সহিংসতার পুরো
দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের আরেক শীর্ষ নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বিএনপি ও শরিকরা দাবি আদায়ে প্রায় এক বছর ধরে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছে; কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশের আগে তাদের বোধোদয় না হলে, এরপর কঠোর কর্মসূচি আসবে। সরকারকে গণদাবি মেনে পদত্যাগ করতেই হবে।