জাতীয়

বিদেশি কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: লাগাম টেনে ধরবে

Is Jennifer Aniston currently in a relationship?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন রাজনীতিবিদরা যতটা সচেতন, রাজনীতিবিদদের কথাবার্তা যত না শোনা যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে বিদেশি কূটনীতিকদের।

তাদের দৌড়ঝাঁপ রীতিমতো বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এখন বাংলাদেশের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। প্রতিদিনই তাকে কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কথাবার্তা বলছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে কূটনৈতিক শিষ্টাচারও তিনি লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন যে কূটনীতিকরা যদি সীমা লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে কোনো রাষ্ট্রে একজন বিদেশী কূটনীতিক তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী।

ভিয়েনা কনভেনশনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে একজন কূটনীতিক কি কি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে পারবেন। এই ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোন রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিক ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না এবং ওই দেশের আইন কানুন এবং শৃঙ্খলপরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ড করতে পারবেন না।

একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যদি কোন রাষ্ট্রদূত হস্তক্ষেপ করে তাহলে সেটি ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। এই ভিয়েনা কনভেনশনের আলোকে সরকার এখন বিদেশি কূটনীতিকদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে দৌড়ঝাঁপ করছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্য এবং গোপন বৈঠক করছেন এই গুলোর দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এই বৈঠক গুলোর মধ্যে কতটুকু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ সেটিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সব রাষ্ট্রদূতদেরকে এ ব্যাপারে প্রথমে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। চিঠিতে প্রত্যেক রাষ্ট্রদূতকে ভিয়েনা কনভেনশনের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।

ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন করা হলে একটি দেশ কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে সে সম্পর্কেও অবহিত করা হবে। এরপরও যদি কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ বন্ধ না হয় এবং তারা যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় অবিরত নাক গলাতে থাকে তাহলে সরকার আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, আমাদের কূটনীতিকরা যখন বিদেশে থাকেন তখন তারা ওই দেশের নিয়ম-নীতি মেনে চলেন। ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন না। কোন রাজনীতিবিদদের সাথে দেখা করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হয় এবং সরকারকে জানিয়ে করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন কিছু হচ্ছে না।

ওই কূটনীতিক এটাও বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নির্বাচন কি হবে না হবে এ বিষয় নিয়ে এখনই আগ বাড়িয়ে কূটনীতিকদের কথা বলার কোনো কথা না। তারা এটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন না। আর এই বিষয়গুলো এখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। তাই যে সমস্ত কূটনীতিকরা এ ধরনের বাড়াবাড়ি করছেন তাদের ব্যাপারে সরকার নজর রাখছে। কারণ বাংলাদেশ যেমন কোন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না তেমনি অন্য কোন রাষ্ট্রকেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না।

আরো পুড়ুনঃ  কী ঘটতে যাচ্ছে ২৭ জুলাই

প্রধানমন্ত্রী গতকাল ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশী-বিদেশী কোনো চাপের কাছে বাংলাদেশ নতি স্বীকার করে না। কাজেই বাংলাদেশ বিদেশি কূটনীতিকদের শিষ্টাচারের ক্ষেত্রে ভিয়েনা কনভেনশনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন দেখতে চায় এবং সেটি অনুসরণ করবে।

সুত্রঃ ইনসাইড বাংলাদেশ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker