জাতীয়: যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) যৌথ প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধি দলের বিবৃতির সুপারিশকে ফরমায়েশি মতামত বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (১৫ অক্টোবর) মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদ্যসমাপ্ত ঢাকা সফর শেষে দেওয়া বিবৃতিতে সংলাপসহ ৫ দফা সুপারিশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছে, এটাকে স্বাগত জানাই। আমরা সবসময় সংলাপ করে যাচ্ছি বিভিন্ন দলের সঙ্গে। তারাও চাইলে করুক। আমাদের আপত্তি নেই। আমরা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি। আমরা চাই সব লোক ভোট দিক, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। আমাদের মধ্যে এ নিয়ে মতভিন্নতা নেই। তারা যে ফরমায়েশি মতামত দিয়েছে এটা নিয়ে হইচই করার কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, তারা যে কারণে আসছিলেন তা বলেন নাই। আরও কিছু মাতব্বরি করে গেছেন। সরকারের এতে বলার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে বড় রদবদল
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি কূটনীতিকরা আসেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য। মূলত ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। সেই ফাঁকে কেউ কেউ নির্বাচনের কথা বলেন। আর এটা আপনাদের হট টপিক। তারা খুব মজা পান, বাংলাদেশের মিডিয়া তাদের পাত্তা দেয়। এজন্য তারা উপভোগ করেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলা একটি খেলা। বিদেশিরা মজা পায়। এটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। দুনিয়ার অধিকাংশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নেই। আমেরিকায়ও নেই। আর আমেরিকার লোক এসে যদি নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের কথা বলে, এটা দুঃখজনক।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনে ছোট পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ইউরোপিয়ান কমিশন থেকে সম্প্রতি একটি চিঠি পেয়েছি নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিষয়ে। ইউরোপিয়ান কমিশন বলছে, তাদের পয়সার অভাব এবং সেই কারণে তারা বড় প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারবে না। তারা বলছে, তারা একটি ছোট দল পাঠাবে। যদি ওই ছোট দলের থাকা-খাওয়া এবং আসা-যাওয়ার খরচ আমরা দিই। আমরা এগুলোতে খুব একটা আগ্রহী নই। আমরা এখনো জবাব দেইনি।
বিদেশি পর্যবেক্ষক না এলে নির্বাচনের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে ড. মোমেন বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষক দরকার নেই। আমাদের দরকার ভোটার। জনগণ যদি আমাদের নির্বাচনে আসে, ভোট দেয় সেটা আমাদের জন্য যথেষ্ট। আমরা বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল নই। আপনারা (সাংবাদিকরা) এত দেউলিয়া হয়েছেন কেন? আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না। তারা আসে। আমেরিকায় আমাদের মিশনে এসে তারা দেখা করেছে। আমাদের দপ্তরে আলোচনা করতে তারা এসেছিল।