সারাদেশ: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. এমদাদুল হক তালুকদারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠা ওই কর্মকর্তার নাম মো. আজিজুল ইসলাম। ঘটনার দিনই বিষয়টি লিখিতভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদকে জানিয়েছেন মহাপরিচালক মো. এমদাদুল হক তালুকদার। এই ঘটনার আগে ৫ অক্টোবর আজিজুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মো. আজিজুল ইসলাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভাইরোলজি অনুবিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) এবং ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি সার্ভিস জোরদারকরণ’ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির অস্ত্রোপচার কাল, দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা
জানা গেছে, বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করে, তা প্রত্যাহার করার জন্য চিঠি দেন আজিজুল। সেই চিঠি মন্ত্রণালয়ে যাবে মহাপরিচালকের মাধ্যমে। তবে মহাপরিচালক চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠাননি। চিঠি যেন পাঠান, এ জন্য ঘটনার দিন বেলা ১টার দিকে মহাপরিচালকের কক্ষে যান আজিজুল। তখন এমদাদুল হক তার কক্ষে ছিলেন না। দপ্তরের বাইরে পেয়ে ‘জরুরি কথা আছে’ বলে মহাপরিচালককে অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) কক্ষে নিয়ে যান আজিজুল। সচিবকে দেওয়া চিঠিতে মহাপরিচালক বলেন, পরিচালকের কক্ষে প্রবেশ করলে আজিজুল তার সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহারের আবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন। আবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হলে প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ কথা শুনে আজিজুল চিৎকার করতে থাকেন। পরিচালক (প্রশাসন) তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও মহাপরিচালকের দিকে তেড়ে যান তিনি। মহাপরিচালক কক্ষ ত্যাগ করতে চাইলে তার পথ রোধ করে আজিজুল চিৎকার করতে থাকেন। তিনি মহাপরিচালককে প্রাণনাশের হুমকিও দেন। একপর্যায়ে মহাপরিচালককে ধাক্কা দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আজিজুল ইসলাম বলেছেন, তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণের গভীর চক্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ডিজির (মহাপরিচালক) হাত ধরে ক্ষমা চেয়েছি, যেন আমার আবেদন ঊর্ধ্বমুখী করেন। আর তিনি অভিযোগ করেছেন, আমি তাকে ধাক্কা দিয়েছি, যা সত্য নয়।’