নিজস্ব প্রতিবেদন: জলবায়ুর নায্য বিচার, পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ, সিংগেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করণ, বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দেশের নদী রক্ষায় আদালতের রায়সমূহ যথাযথভাবে মেনে সিলেটের সুরমাসহ সকল নদী ও জলাশয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানো ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের দাবীতে জলবায়ু ধর্মঘট করেছেন ‘সোসাইটি ফর একশান এন্ড ডেভেলপমেন্ট আল্টার্নেটিভ (সাদা)’ এর সিলেট টিমের জলবায়ু যোদ্ধারা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৪.০০ টায় মানববন্ধন আকারে এই জলবায়ু ধর্মঘটটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ও অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে চৌহাট্টা আলেয়া মাদ্রাসার মাঠে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। উক্ত জলবায়ু ধর্মঘটটি ‘সোসাইটি ফর একশান এন্ড ডেভেলপমেন্ট আল্টার্নেটিভ (সাদা)’ এর ফাউন্ডার শরীফ হাসান ব্যাপীর সভাপতিত্বে, সাদার সিলেট বিভাগের জলবায়ু ন্যায্যতা ক্যাম্পেইনের কোওর্ডিনেটরের আবদুল্লাহ আল নুমান সানির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
উক্ত জলবায়ু অবরোধে সাদার ওয়েলবিং উপদেষ্টা ও সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে প্রফেসর ড. তাহমিনা ইসলাম বলেন বলেন, “আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাতে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জনসচেতনতা তৈরি করার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব । সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।”
সমাবেশে সাদার ফাউন্ডার শরীফ হাসান ব্যাপী বলেন, “বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে। বাংলাদেশে পুনঃপুন প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন সিলেটে পাহাড় ধ্বস, ফ্লাশ-বন্যা, খরা, নদীভাঙ্গণ বাড়ছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয় এমন একটি দেশ৷ কিন্তু শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশকে দিনদিন অরক্ষিত করে ফেলছে। এজন্যই শিল্প উন্নত দেশগুলোকে জবাবদিহিতার অধীনে আনতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য “ইয়ং পিপল ফর ক্লাইমেট একশন নাও” প্রতিপাদ্যে ‘সোসাইটি ফর একশান এন্ড ডেভেলপমেন্ট আল্টার্নেটিভ (সাদা)’ ও গ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে প্রায় অর্ধশত তরুণ ‘এক্টিভিস্টা’ (স্বেচ্ছাসেবী) এ সচেতনতামুলক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।