নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে কাঁদলেন এ্যানি

পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ধানমন্ডি মডেল থানার মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুনানিতে এ্যানি কিছু বলবে কি না বিচারক জানতে চান। এ সময় তিনি বিচারকের সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা কোন যুগে বসবাস করছি। আমি কি চোর, না ডাকাত।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ধানমন্ডি মডেল থানার করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শাহিদী হাসান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ধানমন্ডির নিজের বাসা থেকে এ্যানিকে আটক করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৩ মে ২০২৩ ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০/১৫ হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়ে পদযাত্রার সমাপনী বক্তব্য শেষে চলে যাওয়ার প্রাক্কালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিশোটা, ইট-পাটকেল ও ককটেল ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ পুলিশের সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের উপর আক্রমণ, সরকারকে উৎখাত ও জনসাধারনের জানমালের ক্ষতিসাধন, গণপরিবহন ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন, ককটেল বিষ্ফোরণ করে ত্রাস সৃষ্টি ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড শুরু করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপর হামলা করে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এতে পুলিশ অফিসার ও ফোর্স গুরুতর আহত হয়। পরে সরকারি সম্পত্তি, জনসাধারনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য আসামিদেরকে ধাওয়া করলে আসামিরা ঘটনাস্থল হতে বিভিন্নভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সুত্র, কালবেলা ।