নির্বাচনে বিএনপি না এলে জাপার যে কৌশল- আসন বাড়াতে চায় ভাগে

আগামী নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান কী হবে তা এখনই পরিষ্কার করতে চায় না জাতীয় পার্টি (জাপা)। নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি কোন দিকে বাঁক নেয়, তা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দলটি। তবে, বিদেশি তৎপরতা উপেক্ষা করে যদি আ.লীগ সরকার বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচন করতে চায়, সেক্ষেত্রে আসন বাড়ানোই হবে তাদের মূল লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বনানী কার্যালয়ে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এমপিদের যৌথ সভায় এসব মত উঠে এসেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

সভায় অংশ নেন ৫১ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ৩৮ এমপি। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং তার ছেলে রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগীর আল মাহি এরশাদ সাদকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সভায় অংশ নেননি তারা। বাকি ১১ জন অসুস্থতা, ব্যস্ততা এবং বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।

জাপা সূত্র জানায়, গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপার সুযোগ ছিল ৭০ থেকে ৮০টি আসন জিতে নেওয়ার। কিন্তু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় তখন মাত্র ৩৪টি আসন পাওয়া গিয়েছিল। আরও কয়েকটি আসন আওয়ামী লীগ ছাড়লেও সেখানে দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় জাপা জিততে পারেনি। আগামী নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে ২০১৪ সালের মতো ভুল করা যাবে না। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ ২৬ আসন ছেড়েছিল। বিএনপি এবার নির্বাচনে না এলে জাপার সুযোগ থাকবে আসন বাড়িয়ে নেওয়ার। এ সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে– জাপা এখন যেভাবে আছে, নির্বাচনের তফসিলের আগ পর্যন্ত সেভাবেই থাকবে। বক্তৃতা-বিবৃতিতে সরকারের সমালোচনা করলেও তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। আলোচনায় থাকতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মিসভা করবে। যৌথ সভা থেকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে জি এম কাদেরকে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়।

এদিকে গত ২৩ আগস্ট ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পর থেকে অনেকটাই নীরব রয়েছেন জি এম কাদের। আগের মতো সরকারের কড়া সমালোচনা করছেন না। যদিও গত ৫ আগস্টের যৌথ সভায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসনসহ ১০ দফা দাবিতে পথসভা, লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আ.লীগ সরকার ক্ষুব্ধ হতে পারে, এমন শঙ্কা থেকে রাজপথের কর্মসূচির বদলে বিভাগীয় কর্মিসভার সিদ্ধান্ত নেয় জাপা।