পোলিশ সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ও অপারেশন প্রধান মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। একটি সংকটময় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে এ ঘটনায় সামরিক বাহিনীতে একটি বড় সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও এ দুই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা তাদের চলে যাওয়ার কারণ জানাননি। তবে পোলিশ গণমাধ্যম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দুজনের বিরোধের দিকে আঙুল তুলেছে।
সেনাপ্রধান আন্দ্রজেজ্যাকের মুখপাত্র কর্নেল জোয়ানা ক্লেজজমিট বলেছেন, ‘জেনারেল রাজমুন্ড আন্দ্রজেজ্যাক সোমবার তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন…। যেকোনো সেনার মতো তিনি কারণ ছাড়াই পদত্যাগ করার অধিকারী।’ সেনাবাহিনীর অপারেশন প্রধান জেনারেল টমাস পিওট্রোস্কিও পদত্যাগ করেছেন।
পোলিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পদে থাকা এ দুই কর্মকর্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিউস ব্লাসজ্যাকের সঙ্গে বর্ধিত বিরোধের পর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তারা আগামী রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইনসভা নির্বাচনের প্রচারে সেনাবাহিনীকে জড়িত করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছিলেন।
এদিকে বিরোধীরা এখন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করছে। বিরোধী নিউ লেফট পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রধান ক্রজিসটফ গাওস্কি এক্সে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে, মধ্যপ্রাচ্যেও যুদ্ধ এবং পোলিশ সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’ ক্ষমতাসীন দলের ক্রিয়াকলাপ সবচেয়ে খারাপ সম্ভাব্য সংকটের সময় মানুষকে অরক্ষিত করে তুলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী ইউক্রেনের সঙ্গে পোল্যান্ডের সম্পর্ক ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। যদিও রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওয়ারশ কিয়েভের প্রধান সমর্থক।
ক্ষমতাসীন ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট জিততে প্রস্তুত হলেও তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে কম ভোট পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে অতি-ডান কনফেডারেশন পার্টি চায় পোল্যান্ড ইউক্রেনে সাহায্য পাঠানো বন্ধ করুক। তারা ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের অধিকারের সমালোচনাও করেছে।
সূত্র : এএফপি