নির্বাচনও কি হবে ‘তলে তলে’

টানা পনেরো বছর দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। তৃতীয় মেয়াদে এসে আওয়ামী লীগের সেরা অর্জন কী? অনেকেই হয়তো বলবেন ‘উন্নয়ন’। না, ভুল। আওয়ামী লীগের যত উন্নয়নের আয়োজন, তা সবই প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে গ্রহণ করা। তৃতীয় মেয়াদে এসে আওয়ামী লীগ সরকার এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুধু এগিয়ে নিয়েছে। বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ এ মেয়াদে সম্পন্ন হয়েছে এবং হচ্ছে। এই অক্টোবর মাসে রয়েছে ‘উন্নয়নের উৎসব’। বিস্ময়কর উন্নয়ন তাই সরকারের তৃতীয় মেয়াদের সাফল্য নয়। তাহলে তৃতীয় মেয়াদে এ সরকারের সেরা সাফল্য কী? কিছু আত্মঘাতী মন্ত্রী। যারা মুখে মারাত্মক ‘শব্দবোমা’ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আচমকা এসব বোমা বর্ষিত হচ্ছে দেশ-বিদেশে। অতিকথনের এ বোমায় ক্ষত-বিক্ষত আওয়ামী লীগের সব অর্জন। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, সরকার যখনই একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় যাচ্ছে, তখনই কিছু বাচাল মন্ত্রী ‘শব্দবোমা’ বিস্ফোরণ করছেন। ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী মতো’, ‘ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে’—এসব পুরোনো কথা। এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, এ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করার কেউ নেই। কিন্তু এসব কথাবার্তা আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশকে কতটা হেয় করেছে, তা হিসাব করে বের করা যাবে না। জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি নিয়ে যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস, ঠিক তখন তাতে জল ঢেলে দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফেলুদার মতো সেলফি নেপথ্যেও রহস্য উন্মোচন করে তিনি কী অর্জন করলেন? তার চেয়েও বড় কথা হলো, এসব কথা বলে বিরোধী দলকে তিনি দিয়েছেন পরম প্রশান্তি। তাহলে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেবুঝেই কদিন পরপর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ ধরনের ‘শব্দবোমা’ ফাটান? শুধু পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীদের বক্তব্যগুলো এই কঠিন সময়ে এক টুকরো বিনোদন। তারা যখন কথা বলেন, তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আতঙ্কে থাকেন। কখন কোন বেফাঁস কথা বলে দল এবং সরকারকে আবার বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে, এ শঙ্কায় থাকেন। তাদের কথাবার্তা শুনে মানুষ হাসে। বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনা করে। এসব লাগামহীন বক্তব্য কি বালখিল্য নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? অর্থমন্ত্রী গত পাঁচ বছরই প্রায় বিশ্রামে আছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে হঠাৎ করেই তার নিদ্রা ভঙ্গ হয়। তখন তিনি শব্দের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সবাইকে চমকে দেন। অর্থনীতি নিয়ে যখন সবার মধ্যে আতঙ্ক, অস্বস্তি; ঠিক তখন এক দুপুরে ঘুম ভাঙল অর্থমন্ত্রীর। বললেন, ‘যারা বলে দেশের অর্থনীতি ভালো নেই তারা অর্থনীতি বোঝেন না। অর্থনীতি ভালো আছে।’ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। ঠিকঠাকমতো বৈধপথে প্রবাসী আয় আসছে না। খেলাপি ঋণ সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এরপর যদি অর্থনীতি ভালো থাকে, তাহলে তো তাকে অর্থশাস্ত্রে নোবেল দিতে হয়। দেশে যখন দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মানুষের দিশেহারা অবস্থা, তখন বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটের কাজে অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কী হবে এ নিয়ে তিনি জনগণকে রীতিমতো ভয় দেখালেন। আওয়ামী লীগ সরকারে অতিকথনের রোগে যারা আক্রান্ত, তাদের বেশিরভাগ অযোগ্য। স্বপ্নে পাওয়া তাবিজের মতো তারা প্রায় অলৌকিকভাবে মন্ত্রী হয়েছেন। তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো অর্জন নেই। তারা জনসম্পৃক্তহীন। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি পোড় খাওয়া ত্যাগী রাজনীতিবিদ। তিল তিল করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়েছেন। বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি তিনি। ওবায়দুল কাদেরকে দলের মুখপাত্র হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। দুর্ভাগ্য, তিনিও বেশ কিছুদিন ধরে অতিকথনের রোগে আক্রান্ত। যে কোনো ব্যাধি সংক্রামক। তার কেবিনেট কলিগদের লাগামহীন কথাবার্তার অসুখ তার মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের বক্তব্য একসঙ্গে মেলালে মনে হয়, এসব বেসামাল কথাবার্তা শুধু অসুখ কিংবা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিজনিত নয়। এর পেছনে রয়েছে আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক ষড়যন্ত্র। যুক্তরাষ্ট্র যখন বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখন ওবায়দুল কাদের দেশে ছিলেন না। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি ‘শব্দবোমা’ বিস্ফোরণ করলেন। জাতিকে জানালেন, ‘দুই সেলফিতেই ফয়সালা হয়ে গেছে’। সেতুমন্ত্রী কি জানতেন না তার সহকর্মী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে সেলফির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে আওয়ামী লীগের এক হঠাৎ গজিয়ে ওঠা নেতাকে দেখা গেল। ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর তিনি জাতিকে জানালেন, এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিএনপির বিরুদ্ধে। তার এরকম অভিনব এবং অবিশ্বাস্য আবিষ্কারের পর তিনি এখনো মন্ত্রী হননি কেন, তাতে আমি বিস্মিত। ধারণা করি, বিমান থেকে নামার পর এই হাইব্রিড এবং অর্বাচীনদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই হয়তো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমন ‘উত্তেজক’ মন্তব্য করেছেন। ওবায়দুল কাদের গত ৩ অক্টোবর ঢাকার অদূরে আওয়ামী লীগের এক শান্তি সমাবেশে রীতিমতো শব্দের ব্রাশফায়ার করেছেন। ‘তলে তলে সবার সঙ্গে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ভারসাম্য করে ফেলেছেন’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্য টিভি স্ক্রলে ‘ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে যেতে থাকে। এ নিয়ে মুহূর্তে সারা দেশে তোলপাড়, হৈচৈ। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির এহেন কথায় দলের নেতাকর্মীরা স্তম্ভিত। তারা হতবাক। দুদিন পর, গত বৃহস্পতিবার তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। কিন্তু এ ব্যাখ্যায় ‘তলে তলে’ এবং ‘আপস হয়ে গেছে’ কথাগুচ্ছের যে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এতে তার বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক আরও বেড়েছে। প্রধান প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন কীভাবে করতে চায়—যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আপস করে একটি নির্বাচন, যে নির্বাচনে তাদের টানা চতুর্থবার সরকার গঠন নিশ্চিত হবে? অন্তত ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য তারই ইঙ্গিত দেয়। তাহলে তো তার বক্তব্য আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনা দেশ-বিদেশে, বারবার প্রতিবার একটি কথাই বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হলো—‘নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই।’ শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, ‘দেশ বিক্রি করে, মুচলেকা দিয়ে তা আপস করে আমি ক্ষমতায় থাকতে চাই না। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে।’ দলের সভাপতির এ বক্তব্য সাধারণ সম্পাদক শোনেননি, এটা হতে পারে না। শেখ হাসিনার অবস্থান জানার পর তলে তলে, আপস, সমঝোতা ইত্যাদি ভয়ংকর শব্দ ব্যবহার করে তিনি কি দলের সভাপতিকে ছোট করলেন না? নাকি এ ধরনের অতিকথন কোনো ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত? গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ বার্তাটি দিয়েছে। তিনি বলেছেন, “দেশ যখন এত এগিয়ে যাচ্ছে তখন সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এত মাতামাতি কেন? ‘সন্দেহ হয় রে’—এটাই বলতে হয়। আসল কথা নির্বাচন বানচাল করা।” তাহলে কি অতিকথনের সঙ্গে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র আছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অদ্ভুত ঐক্য এবং বিরোধের আলো ছায়ার খেলা চলছে। সব রাজনৈতিক দল, সব বিদেশি দল, এ দেশের সবাই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কেউ বলছে না, আমরা কারচুপি করে, ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চাই। এই অদ্ভুত ঐক্যের পরও বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে এখনো শঙ্কার কালো মেঘ। আওয়ামী লীগ বলছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করবেই করবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যারা ঘনিষ্ঠ তারা এরকম বার্তা প্রতিনিয়ত পাচ্ছেন, যে আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ, বিতর্কমুক্ত। কিন্তু বিএনপি আওয়ামী লীগের কথা বিশ্বাস করছে না। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সুশীল সমাজ, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক বিদেশি রাষ্ট্র সরকারের কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না। এজন্যই ভিসা নীতি, প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর মতো তৎপরতাগুলো লক্ষ করা যাচ্ছে। কেন এ অবিশ্বাস? এর প্রধান কারণ ২০১৪ ও ’১৮ সালের নির্বাচন। এ দুই নির্বাচন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই ওই নির্বাচনের ত্রুটির দায় বিএনপিও এড়াতে পারে না। বিএনপিকে বাদ দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল আওয়ামী লীগের জন্য। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। এর প্রধান কারণ অতিউৎসাহী প্রার্থীদের ‘তলে তলে আপস করে ফেলার’ প্রবণতা। আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ প্রার্থী ভেবেছেন, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হলে সংসদ বেশি দিন টিকবে না। তাই টাকা-পয়সা খরচ করে লাভ কী? তারা তলে তলে আপস করে, ১৫৩টি আসনে বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। ওই নির্বাচনে যদি সব আসনে ভোট হতো, সব প্রার্থী অবাধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন, জোর করে প্রার্থী বসিয়ে দেওয়ার নোংরা খেলা না হতো, তাহলে আজকের এ সংকট হতো না। ‘তলে তলে আপসের খেলায়’ সর্বনাশ হয়েছে। কিন্তু তারপরও আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল। এটা ছিল টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের বড় সুযোগ। কিন্তু সেই সুযোগও আওয়ামী লীগ কাজে লাগাতে পারেনি। শেখ হাসিনা যেভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলেন, তা হতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসনে অতি আওয়ামী লীগার, চাটুকার এবং মতলববাজদের কারণে ওই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক আড্ডায় খোলামেলা আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলের নেতারাই স্বীকার করেন, নির্বাচনের আগে ‘তলে তলে আপস’ হয়েছিল। সরকার বিএনপিকে ৬০-৭০ আসন দিতে চেয়েছিল, এই কথা তখন ওপেন সিক্রেট, বিএনপির অনেক নেতাই ‘তলে তলে’ অভিযোগ করেন—‘আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা যায় না’—এটি ওই ‘তলে তলে’ আপস ভঙ্গের বেদনা থেকেই। এরকম কোনো নির্বাচনই জনগণ চায় না। এ দেশের জনগণ ভোট উৎসবের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের মালিকানা চান। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চান। এবারের নির্বাচনে সরকারকে জনগণের এ প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জনগণ কী চায়—সেটিই মুখ্য। এরকম একটি পক্ষপাতহীন এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করাটাই নির্বাচন কমিশনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ‘১ শতাংশ ভোটার ভোট দিলেও নির্বাচন বৈধ’ এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা নির্বাচনের আগেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বিভিন্নভাবে। দেশ-বিদেশে। আওয়ামী লীগের ভেতরেও কেউ কেউ কি এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত? তারা কি ২০১৪ বা ’১৮-এর মতো আবারও ‘তলে তলে নির্বাচন’ করতে চান? এসব লাগামহীন বক্তব্য কি তারই ইঙ্গিত?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত