চলতি বছরের এপ্রিল-জুনে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। ফলে জুন শেষে এ ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে যা রেকর্ড।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়,খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য জুনে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা ছুঁয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে এত বেশি খেলাপি ঋণ হয়নি। ব্যাংক খাতে মোট বিতরণ করা হয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণ পরিশোধে গত ৩ বছর ধরে গ্রাহকদের নানা ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবু টাকা অনেকেই ফেরত দিচ্ছেন না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পুরো ব্যাংকিং খাতে।
২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সেসময় দেশে মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এখন তা দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়ালো। অর্থাৎ ১৪ বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ৩১ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ফলে সর্বমোট এ ঋণে সেটার প্রতিফলন ঘটেছে। কিছু ব্যাংক পুনঃতফসিল করতে পারেনি। আবার কিছু করার পর ফের খেলাপি হয়েছে।
তিনি বলেন, ১ ব্যাংকে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তা আবার খেলাপি হয়ে পড়েছে। এরকম কিছু রয়েছে।