সারাদেশ: খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, সরকার নিজেদের স্বার্থে বহুবার সংবিধান সংশোধন করেছে। এখন দেশের স্বার্থে আবারো সংবিধান সংশোধন করে দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে খেলাফত মজলিস আয়োজিত দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ৮দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ এক গভীর সংকটকাল অতিক্রম করছে। এই সংকট রাজনৈতিক, এই সংকট অর্থনৈতিক। একদিকে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, অপরদিকে দেশের টাকা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। সরকার দাবি করছে তাদের ওপর জনগণের সমর্থন আছে, অথচ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। কারণ তারা নিজেরাও ভালো করে জানে, সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
খেলাফত মজলিসের আমির তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার ওপর ইসরাইলী বর্বরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ইসরাইলের দখলদারিত্ব অবসান না করা পর্যন্ত ফিলিস্তিনে কখনো শান্তি আসবে না।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, এদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ অনেক সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু মানুষকে এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকারসহ মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সংকট তৈরি করেছে সরকার, তাই সরকারকেই এর সমাধান করতে হবে। জুলুম করে শাসন দীর্ঘায়িত করা যায় না। জুলুম থেকে মানুষকে মুক্তি দিন। তপশিল ঘোষণার পূর্বেই ক্ষমতা দলনিরপেক্ষ সরকারের হাতে হস্তান্তর করুন। শান্তি ও সম্প্রীতির স্বার্থে জনগণের দাবি মেনে নিন।
এসময় মহাসমাবেশে পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। ঘোষিত পরবর্তী কর্মসূচি হচ্ছে- ১। আগামী ২৭ অক্টোবর দেশব্যাপী গণমিছিল, ১৬ অক্টোবর থেকে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল, ওলামা-মাশায়েখ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় এ ছাড়া গাজাসহ ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবিতে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি।
মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমির শায়খুল হাদিস মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক সিরাজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক মাওলানা এস এম খুরশিদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার আব্দুল মজিদ, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মুফতি শিহাবুদ্দীন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শায়খুল হাদিস মাওলানা আলী আহমদ, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য সৈয়দ মাওলানা মুশাহিদ আলী, মাওলানা আফতাব উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নেহাল আহমদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী, ইসলামী যুব মজলিসের সদস্য সচিব তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা সাঈদ আহমদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রভাষক মুহাম্মদ আব্দুল করিম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা আহমদ বিলাল প্রমুখ।