তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরা লাশ, গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত: কাদের

জাতীয়:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: এখন কোয়ার্টার ফাইনাল,সামনে সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে জানুয়ারিতে।

খেলা হবে সারা ঢাকায়, খেলা হবে চট্টগ্রামে, খেলা হবে সিলেটে, খেলা হবে রাজশাহীতে, খেলা হবে বরিশালে, খেলা হবে খুলনায়, খেলা হবে সারা বাংলায়। ঠিক আছে, ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে হবে। এখনই ক্লান্ত হলে চলবে না।

‘মির্জা ফখরুলের সর্বশেষ বক্তৃতা শুনে মনে হল, মির্জা ফখরুল এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরা লাশ। আজিমপুরের গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত। গোরস্থান থেকে ফখরুল এখন ওই মরা লাশ টেনে আনছে। এই মরা লাশের মুক্তি আসবে না।’
শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বেঁচে থাকলে এই দেশে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারবে না। নির্বাচন হবে, শান্তিপূর্ণ হবে। এ দেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা৷ এদেশে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখ হাসিনাই করবেন। নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবেই। ফখরুল সাহেব নির্বাচনে না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে৷ দুইটাই হারাবেন। দুনিয়াব্যাপী আপনারা বদনাম করেছেন, দেশে দেশে বদনাম করছেন, বদনাম ঘোচানোর জন্য শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন, যে নির্বাচন হবে নজিরবিহীন। ফখরুল সাহেব হারালে আর পাবেন না।

তিনি আরো বলেন, খেলা হবে, খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। খেলা হবে, সামনে আসছে সেমিফাইনাল। তারপরে ফাইনাল, গলা ঠিক রাখতে হবে। সামনে আরো দুই মাস, এখনই তোমরা বেশি ক্লান্ত হইয়ো না।

২০০৪ সালের ২১ আগস্টকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে এখানে দাঁড়ালে বিএনপি’র সেই নৃশংস চরিত্র আমাদের চোখের সামনে আসে। এই বিএনপি ওই বিল্ডিং থেকে গ্রামের মেরে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের ২৩ টি প্রাণ সেদিন রক্তাক্ত করেছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছিলাম। এই সেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, এখানে এলে বিএনপি কত ভয়ংকর, বিএনপি কত নিষ্ঠুর, সেই ছবি আমরা বারবার দেখতে পাই। কাজে প্রস্তুত থাকতে হবে, সবদিক থেকেই খেলা হবে। ওরা ফাউল করবে, ফাউলের জবাব দিতে হবে। লাল কার্ড দেখাতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সেদিন বলেছিলাম রূপপুর ইউরেনিয়ামের চালান আসছে। ফখরুল, মির্জা আব্বাসরা বলে, মঈন খানরা বলে, রূপপুর বন্ধ করে দেবে। ইউরেনিয়াম যেটা আছে সেটা সারা দুনিয়া স্বীকৃত। এই রুপপুর পরমাণুবিক বিদ্যুৎ, আমরা ইউরেনিয়াম ক্লাবে তেত্রিশ নম্বরে যুক্ত হয়েছি। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যারা বন্ধ করে দিতে চায়, আমরা এত কোটি কোটি টাকার ইউরিনিয়াম কেন আনলাম, এজন্য বলেছি ওদের মাথার উপর ঢালবো। ফখরুল মির্জা আব্বাসরা গরম হয়ে যায় তাদের মাথার উপর ঢালতে হবে।

বিএনপিকে আমেরিকা রোগে পাইছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আর কাউকে তো পায় না। ওইভাবে আমেরিকানরাও আসে না। পাত্তা দেয় না। দৌড়ে যায় পিটার হাসের কাছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পিটার হাস, দুপুরে লাঞ্চ করতে যায় পিটার হাস, রাতে ডিনার করতে যায় পিটার হাস। আমি জানি না হাসাহাসে ফখরুলকে কী স্বপ্ন দেখিয়েছে। তবে ক্ষমতা স্বপ্ন দেখিয়ে কোন লাভ নেই। ফখরুল সাহেব দিল্লি বহু দূর। ক্ষমতার পথ আপনারাই বন্ধ করে দিয়েছেন। পিটারহাস সাহেব কী করবেন? ভিসা নীতি দিবেন? কী করবেন নিষেধাজ্ঞা দিবেন? পিটার হাস সাহেবের মুরুব্বিদের সাথে আমাদের কথা হয়ে গেছে। আমেরিকার মুরুব্বী যারা তাদের সাথে কথাবার্তা শেষ। উচ্চ পর্যায়েও কথাবার্তা হয়ে গেছে। তলে তলে যখন সব শেষ তখন আর এসব করে লাভ কী? পিটার হাসকে দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করবেন, ঢাকায় তাণ্ডব করবেন, সেই খেলা খেলতে দেব না। সেই খেলা সন্ত্রাসের খেলা, বিএনপিকে সেই খেলা খেলতে দেব না।